Why we want our voice to be heard?

Pages

Friday, December 23, 2011

পার্বত্য শান্তিচুক্তি অবশ্যই বাস্তবায়ন করব : প্রধানমন্ত্রী

-------------------------------------------------------------------------------------

The previous story can be found here.
We wonder how long will it take to implement Peace Accord? Another 14-15 years more!! It has been mentioned as one of the first priorities, since it was signed by BD Govt. Decades passed now, but we see no major development!! Is it another false promise made by Honorable Prime Minister of BD, or another political game to blame opposition party for everyting!!

-chtnewsupdate team
------------------------------------------------------------------------------------

পার্বত্য শান্তিচুক্তি অবশ্যই বাস্তবায়ন করব : প্রধানমন্ত্রী


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ডিসেম্বর ২২, ২০১১

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন আমাদের অঙ্গীকার। আমরা অবশ্যই পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করব।’

বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল  নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছিলাম। এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তখন একটি কমিটি গঠন করে দেই। এছাড়া শরণার্থী যারা ফিরে আসেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এ চুক্তি আর বাস্তবায়ন হয়নি।’

‘আমরা আবার ক্ষমতায় এসে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সেখানে শান্তি ফিরে আসুক, তা বিএনপি চায় না। এখন আবার অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। কেউ কেউ সেখানে নানা ধরনের খেলা খেলারও চেষ্টা চালাচ্ছে।’

এ জন্য প্রধানমন্ত্রী সতর্ক থাকা এবং ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য সেখানকার অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিরোধী দল আবার দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়।’

‘একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু এবং খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের দুনীতির মামলার কার্যক্রম চলছে। এ কারণে খালেদা জিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এখন বোমাবাজি শুরু করেছে।’

‘বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারো সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে সেদিন দেখলাম, বোমাবাজি। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ডেকেছে বিকেল ৩টায় আর বোমাবাজি শুরু করলো ভোর ৬টায়।  বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা করা, ভাঙচুর-জ্বালাও- পোড়াও এটা কার স্বার্থে।’

এর মূল উদ্দেশ্য খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের দুর্নীতি ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্থ করা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি’র নেত্রীকে বলবো, এসব ঘটনা ঘটিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে কাজ হবে না। আপনি ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি লুটপাট করেছেন। এতিমের টাকা  মেরে খেয়েছেন। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিলেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি  যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তার তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট বেরিয়েছে। এই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে যারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার আমরা করবো। এদের বিচার করা না হলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীতে ক্ষুদ্র জাতি সত্তার কথা বলা হয়েছে। আগে এটা স্পষ্ট ছিলো না, সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।’

‘সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছি। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে সারা দেশে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছিলো।

খালেদা জিয়া নিজে দুর্নীতি করেছেন, এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। কালো টাকা সাদা করেছেন। ছেলেরা লুটপাট, ঘুষ দুনীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। আমেরিকা, কানাডা, সিঙ্গাপুরে তাদের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। বিদেশীরা এসে খালেদা জিয়ার ছেলেদের দুনীতির সাক্ষী দিয়ে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সৃষ্টি করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

‘আমরা দেশকে কতো টুকু দিতে পারলাম, মানুষের জন্য কতো টুকু করতে পারলাম সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের চলতে হবে।‘

তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। অ্যাডহক ভিত্তিতে ডাক্তার নিয়োগ করা হয়েছে। ডাক্তাররা এলাকায় না থাকলে চাকরি থাকবে না। প্রয়োজনে তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগ দেবো।’

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূণরায় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আগের বার আমরা মোবাইল ফোন সহজলভ্য করে দিয়েছিলাম এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল। আগামীতে তরুণদের হাতে হাতে ল্যাপটপ থাকবে।’

তিনি দলের সদস্য সংগ্রহ জোরদার ও তৃণমূল সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে গোছানোর জন্য নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক পর্যায়ে একটি করে কমিটি করে দেবেন। এই কমিটি সদস্য সংগ্রহ ও কাউন্সিল তদারকি করবে।’

‘উপজেলা থেকে করে দেয়া কমিটি ইউনিয়ন এবং ইউনিয়ন থেকে করে দেয়া কমিটি ওয়ার্ডে সদস্য সংগ্রহ ও কাউন্সিল পর্যবেক্ষণ করবে।’

এ মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ এবং  বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, জাতীয় কমিটির সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, দলের জাতীয় সংসদ সদস্য, বান্দরবান জেলার অন্তর্গত সকল উপজেলা, থানা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দল সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------
Courtesy: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

No comments:

Post a Comment