Why we want our voice to be heard?

Pages

Sunday, February 27, 2011

ঘরহারা ২৫ আদিবাসী পরিবার নয় দিন ধরে জঙ্গলে

ঘরহারা ২৫ আদিবাসী পরিবার নয় দিন ধরে জঙ্গলে

সাধন বিকাশ চাকমা, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) | তারিখ: ২৭-০২-২০১১

ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ির কাকপারিয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন আদিবাসীরা। ছবিটি ২৩ ফেব্রুয়ারি তো ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ির কাকপারিয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন আদিবাসীরা। ছবিটি ২৩ ফেব্রুয়ারি তোলা
প্রথম আলো

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের শান্তিনগর ও রাঙ্গীপাড়া গ্রামে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের নয় দিন পরও ২৫টি আদিবাসী পরিবার তাদের ভিটেমাটিতে ফিরতে পারেনি। হামলার পর তারা কাকপারিয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া আদিবাসীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওই জঙ্গলে গেলে ভুক্তভোগীরা এসব কথা জানান।
আদিবাসীরা অভিযোগ করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঙালিরা ওই দুই গ্রামে তাদের (আদিবাসী) বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের অধিকাংশ আদিবাসী বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর প্রায় ৪০টি আদিবাসী পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। তারা প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কাকপারিয়া জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ২৫টি পরিবার এখনো তাদের ভিটেমাটিতে ফিরতে পারেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন গাছতলা ও খোলা আকাশের নিচে আছে। অনেকে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শান্তিদেবী চাকমা বলেন, ‘আমার ছেলে দুই দিন ধরে অসুস্থ। শুধু বনের লতাপাতা দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।’
বগাচতর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রনু দীপক দেওয়ান বলেন, যাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এখনো জঙ্গলে আছে। সরকার থেকে সাহায্য পেয়ে বাড়িঘর তুলতে পারলে তারা ফিরে আসবে।
ভুক্তভোগী সমর রঞ্জন চাকমা অভিযোগ করেন, ‘ভয়ে এখনো মামলা করতে পারিনি। মামলা না করার জন্য বাঙালিরা আমাদের মুঠোফোনে হুমকি দিচ্ছে।’
লংগদু থানার উপপরিদর্শক শাহাজান আলী বলেন, ‘আমরা আদিবাসীদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি। এখনো কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।’ পরিস্থিতি ভালো হলে আদিবাসীরা মামলা করবে বলে তিনি জানান।’
লংগদু উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বী বলেন, ‘আমরা ৩০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দুই হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে তাদের আরও সাহায্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’




 -------

courtesy: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-27/news/134350

বন বিভাগের বিরুদ্ধে জুম চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ



বন বিভাগের বিরুদ্ধে জুম চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি | তারিখ: ২৭-০২-২০১১

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের আদিবাসী জুমচাষিদের বন বিভাগ জুম কাটতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ছয় শ জুমচাষি পরিবার পেশাগত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৪৪ নম্বর কুকখিয়ং মৌজা, ৩৪৫ নম্বর নোয়াপতং ও ৩৪৬ নম্বর ম্রোকখিয়ং মৌজা—তিনটি মৌজা নিয়ে গঠিত নোয়াপতং ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। ইউনিয়নের বাসিন্দা অংথোয়াইচিং মারমা জানান, চাষযোগ্য সমতল ধান চাষের জমি কম হওয়ায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ছয় শ আদিবাসী পরিবার যুগ যুগ ধরে জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কোনো পেশা বা চাষপদ্ধতি না থাকায় লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিবছর জুমচাষ করে থাকে। কিন্তু এ বছর জুমচাষের জন্য জঙ্গল কাটতে গেলে জুমের জমিগুলো সৃজিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পড়েছে দাবি করে বন বিভাগের লোকজন বাধা দিচ্ছেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মহিলা কার্বারিপাড়া এলাকায় গিয়ে পোড়া কয়েকটি জুম দেখা গেছে। এলাকার ইউপি সদস্য হ্লাথোয়াইচিং মারমাসহ পাড়াবাসী অভিযোগ করেন, বন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এসে জুমগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান সম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, বন বিভাগ দাবি করছে, পাড়ার ওই জুমবামগুলোর জমি তাদের ঘোষিত সংরক্ষিত বনভূমি। এ জন্য তারা শীলছড়ি, গঙ্গাপাড়া, সোনাই আগা, ডলুছড়ার ওপর ও নিচের পাড়া, কুক্ষ্যং পাড়াসহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় আদিবাসীদের জুম কাটতে বাধা দিচ্ছে।
বাঘমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রব বলেন, নোয়াপতং ইউনিয়নে বন বিভাগের ছয় হাজার ৭৫০ একর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতে বাগান রয়েছে। ওই বাগান রক্ষার জন্য তাঁরা জুমিয়াদের জুম কাটতে বাধা দিয়েছেন। জুমে বন বিভাগ কোনো আগুন লাগিয়ে দেয়নি দাবি করেন ।  

-------------------
courtesy: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-27/news/134349

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভাষা সম্মেলন আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভাষা সম্মেলন

আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি | তারিখ: ২৭-০২-২০১১

জাতীয় শিক্ষানীতি, পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনসহ বিভিন্ন আইনে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ অধিকার বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
রাঙামাটিতে গতকাল শনিবার আয়োজিত ‘প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম ভাষা সম্মেলন’-এ ভাষা গবেষক, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সব আদিবাসীর ভাষার উন্নয়নে আদিবাসী ভাষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, আদিবাসীদের ভাষার অভিধান তৈরি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন জাতিসত্তার ভাষা কমিটিগুলোকে সচল, আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে আদিবাসী ভাষায় পাঠ্যসূচি প্রণয়নে সেল গঠনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সম্মেলন আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা গ্রাউস, সাস, জাবারাং, টংগ্যা ও সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে।
রাঙামাটি শহরের আশিকা মানবিক উন্নয়নকেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত সম্মেলনে রাঙামাটি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও গবেষক সুগত চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, আদবাসী ভাষার উন্নয়ন, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আদিবাসীদের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যম ও ব্যবস্থা কেমন হবে, সে বিষয়ে আদিবাসীরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের পরিকল্পনাতেও তা রয়েছে।
দীপংকর তালুকদার বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আদিবাসীদের ভাষা সংরক্ষণ, প্রচলন, গবেষণা ও বিকাশের জন্য একটি স্বতন্ত্র অনুষদ রয়েছে। এই অনুষদটিকে ধীরে ধীরে আদিবাসীদের ভাষার জন্য একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। দেশে যে আদমশুমারি হতে যাচ্ছে, তাতে প্রতিটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যথাযথভাবে তুলে আনার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, সামার ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুইস্টিকের (সিল) সহযোগী পরিচালক ফিওনা মর্গান ও সাংবাদিক হরি কিশোর চাকমা। সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার দেড় শতাধিক ভাষা গবেষক, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপন্ন ভাষা সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট জাতিসত্তার ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ও ললিত সি চাকমা।  

-------

courtesy: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-27/news/134407

Saturday, February 26, 2011

Over 40 ethnic groups not individually recognised for census - Muktasree Chakma Sathi

13th February, 2011, NEW AGE
Over 40 ethnic groups not individually recognised for census
Muktasree Chakma Sathi

---------------------
The forthcoming census scheduled for mid-March will have no scope for people of more than 40 distinct small ethnic groups to categorise themselves as the people of the groups they belong to.
The census questionnaire provides distinct categories for only 27 communities, which the government calls ‘ethnic minority’ groups set out in the Cultural Institution for Small Anthropological Groups Act 2010.
It is, however, generally accepted that there are about 75 such ethnic minority groups in Bangladesh. The parliamentary caucus on indigenous affairs earlier came up with the same figure.
Examples of such groups that are not categorised in the census questionnaire are the Mahatos, Baraiks, Mahalis, Ahamias, Rajbangshis, Rais and many others. ‘Altogether this is estimated to amount to about 1 million,’ said Mangal Kumar Chakma, the publicity secretary of Parbatya Chattagram Jana Sanghati Samiti but no census has ever been conducted on such peoples and there are no official figures.
People from small ethnic groups not part of the 27 groups mentioned in the census questionnaire form will be put into a general category which will deny them their individual recognition.
‘It is quite objectionable. I do not understand why they are doing this. Do they want to exclude the rest of the communities from individual categories?’ said Sanjeeb Drong, general secretary of the Bangladesh Adivasi Forum.
He demanded that the authorities concerned should collect data on all the communities which have been left out in the previous censuses.
The Bangladesh Bureau of Statistics director general, Shahjahan Ali Mollah, told New Age, ‘There is nothing to worry about as the major ethnic groups of the country have been recognised in the 2010 legislation.’
‘We need to follow the government gazette,’ he said. ‘We cannot include the groups that are not in the list. It is outside our jurisdiction.’
Kazi Akhter Uddin Ahmed, joint secretary of the statistics division in the planning ministry, said that the responsibility for including ethnic communities in the list lies with the cultural and the Chittagong Hill Tracts affairs ministries.
‘As the cultural ministry was responsible for the Cultural Institution for Small Anthropological Groups Act 2010, it was their task to include all the groups and the CHT affairs ministry deals with ethnic groups in that part of the country,’ he said at the Bureau of Statistics.
The statistics division secretary, Riti Ibrahim, said though the bureau could not include the remaining communities as they are not included in the 2010 act right now but it could carry out a survey on small ethnic peoples if the government requested it to do so.
‘The BBS is likely to organise National Population Register 2011 in November. We can also try to include the rest of the communities in that survey. But right now, we cannot include them by violating the government gazette,’ she said.
As for Riti’s comments, Mesbah Kamal, the spokesperson of the National Coalition on Indigenous People, said, ‘The census is carried out to help the government to gather authentic data on the population, households and other things. The BBS is supposed to be a helping hand of the government which would present how many indigenous groups are living within the territory.’
‘The government was not supposed to decide the number of communities before the census is carried out. What is the point of doing the survey if the government is already aware of the number?’ she asked.
Rights activist Dipayan Khisa said the demand for inclusion of a wider number of communities had been repeatedly taken up with the government but it lacked the willingness even to listen.
A number of small ethnic group leaders expressed their concerns about the accuracy of the forthcoming survey.
The PCJSS publicity secretary, Mangal Kumar Chakma, said, ‘Our previous experiences say that the figures on indigenous population were never authentic as most of the places in the CHT are remote and were not covered. The problems with such people living in the plains are more severe as the data collectors usually categorise such people as religious minority.’
‘If BBS authorities do not appoint data collectors from minority communities, it will be really tough to have an authentic survey.’
Riti Ibrahim, however, said data collectors and supervisors of the census will be selected from local, young educated people. ‘So, If the area is dominated by ethnic groups, the appointed people will be members of these communities,’ she added.
The government officials said that Bangladesh is a ‘secular country’ and they would try to address the ethnic issues properly in the next census which is to be held 10 years later.
The first census in this part of the world was conducted in 1872. Since then censuses were conducted almost regularly every 10 years. This year’s census is the fifth since the country’s independence.

----------------------
courtesy:

Kapaeeng Foundation
(An Human Rights Organization for Indigenous Peoples of Bangladesh)
Shalma Garden, House # 23/25, Road # 4, Block # B, PC Culture Housing, Mohammadpur, Dhaka-1207, Telephone: +880-2-8190801
E-mail: kapaeeng.foundation@gmail.com, kapaeeng.watch@gmail.com

কমিশনের স্মারকলিপি আদিবাসীদের ওপর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

কমিশনের স্মারকলিপি
আদিবাসীদের ওপর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

| তারিখ: ২৬-০২-২০১১

পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জুম্ম সম্প্রদায়ের ওপর বাঙালিদের হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আন্তর্জাতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন (দ্য ইন্টারন্যাশনাল চিটাগাং হিলট্র্যাকস কমিশন, সংক্ষেপে সিএইচটিসি)। কমিশন ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে একটি উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানায়। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এক স্মারকলিপিতে সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়।
কমিশনের তিন কো-চেয়ার এরিখ অ্যাভেব্যুরি, সুলতানা কামাল ও আইডা নিকোলাইসেন স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির লংদু উপজেলার রাঙ্গিপাড়া গ্রামে একজন বাঙালির লাশ পাওয়া যায়। তাঁকে আদিবাসীরা হত্যা করেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় জুম্ম সম্প্রদায়ের ওপর প্রায় ৩০০ বাঙালি হামলা চালায়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা নিরীহ জুম্ম সম্প্রদায়ের লোকজনকে মারধর করে এবং তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরের দিন পার্শ্ববর্তী কুদুকছড়ি গ্রামে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানকার জুম্ম সম্প্রদায়ের লোকজনকে সেনাসদস্যরা নির্যাতন করেন। এ ছাড়া রাঙামাটির বাঘাইঘাট ও খাগড়াছড়ি শহরে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদিবাসীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার স্মরণ অনুষ্ঠানও সেনাবাহিনী এ বছর করতে দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তি।


Thursday, February 24, 2011

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির সম্ভাবনা আছে

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির সম্ভাবনা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৪-০২-২০১১

জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গতকাল ‘বাংলাদেশের আদিবাসী: এথনোগ্রাফিয় গবেষণা’ শীর্ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গতকাল ‘বাংলাদেশের আদিবাসী: এথনোগ্রাফিয় গবেষণা’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও অন্যরা
ছবি: প্রথম আলো

সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়ায় আদিবাসীদের স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এ স্বীকৃতির ফলে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আদিবাসীদের সম্পৃক্ত করা সহজ হবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশের আদিবাসী: এথনোগ্রাফিয় গবেষণা শীর্ষক তিন খণ্ডের বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
দেশের ৪৫টি আদিবাসী জাতির ভাষা, বসতি অঞ্চল ও জনসংখ্যা, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া, পরিবারের ধরন, লোকবিশ্বাস, উৎসব, খাদ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রকাশিত বইটি আদিবাসী সম্পর্কে অনেক ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটাতে সহায়তা করবে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ আদিবাসী অধিকার আন্দোলন এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত বইটি প্রকাশ করেছে উৎস প্রকাশন।
গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বইয়ের বেশির ভাগ লেখক আদিবাসী। বই লেখার বিষয়টি ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। এ জন্য লেখকদের একাধিকবার ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ কামাল বলেন, বর্তমানে সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ বই সাংসদ ও নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই পাঠ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, সরকারিভাবে আদিবাসী জাতিসত্তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বইটি প্রাথমিকভাবে তথ্য-উপাত্তের বিভ্রান্তি কাটাতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অধিকার আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী। এতে অধিকার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাখী ম্রং এবং অক্সফাম জিবির সৈকত বিশ্বাস বক্তব্য দেন।




-----
source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-24/news/133455


Int’l CHT commission asks PM to probe arson

Int’l CHT commission asks PM to probe arson

 

Staff Correspondent
The International Commission for Chittagong Hill Tracts in a letter to prime minister Sheikh Hasina on Wednesday called for formation of a high-level impartial body to investigate into the recent arson attacks in Langadu of Rangamati and those made in Baghaihat of Rangamati district and in Khagrachhari town in February 2010.

The commission also called for identifying the people, whether government employees or others, responsible for carrying out the attacks by ‘commission, omission, abetment or conspiracy’.
It also urged the government to ensure punishment of the people found guilty of the acts, omissions, abetment or conspiracy and to take measures for protecting the vulnerable and preventing such occurrences in the future.

The letter signed by commission co-chairs Eric Avebury, Sultana Kamal, and Ida Nicolaisen also mentioned that the commission was ‘immensely troubled by the fact that members of the government security forces, who are doing such gallant work as part of the global UN peacekeeping forces, are implicated as colluders with the Bangali settlers in carrying out such attacks against the indigenous people of the country, time and again’.

‘We urge the government to issue instructions to military, paramilitary, police and para-police personnel posted in the CHT to protect all communities, without discrimination, and to provide special protection to communities that have a recent history of such attacks or vulnerability,’ the letter read.
The letter was sent in the wake of the February 17 violence in Langadu in which ‘about 300 Bangali settlers attacked and burnt down Jumma peoples’ homes in Rangipara village in Langadu upazila of Rangamati. The Bangali settlers allegedly are said to have instigated this attack after they found the dead body of a Bangali settler in a nearby village. During this time, we were informed that although members of the Border Guard Bangladesh were present, they did nothing to stop the attacks and prevent the Jumma peoples’ houses from being burnt down.’

‘A day after this incident, there were allegations that members of the army were raiding homes of the Jummas and beating up villagers in Kudukchari of Rangamati, following protests made by the Jummas against the attacks in Langadu. We have also received reports that people in Baghaihat, Rangamati have been prevented from commemorating the anniversary of the arson attacks in Baghaihat in February 2010 through memorial and mourning ceremonies and programmes,’ the letter said.

----------

courtesy: http://newagebd.com/newspaper1/national/9186.html


Click here to read the CHT Commission's full statement

সাংবিধানিক সংস্কার ও আদিবাসী পরিচয় - দেবাশীষ রায় ওয়াংঝা

সাংবিধানিক সংস্কার ও আদিবাসী পরিচয়

দেবাশীষ রায় ওয়াংঝা | তারিখ: ২৪-০২-২০১১

অসাম্প্রদায়িকতার যাত্রায় আদিবাসী যাত্রী
সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে দেশটি নতুন যাত্রায় নেমে পড়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার অন্বেষণে। বৈঠা ধরেছেন শেখ হাসিনা। দাঁড়ে রয়েছে সংসদীয় সংস্কার কমিটি। পাঁচজন আদিবাসী সাংসদও বৈঠা হাতে। প্রশ্ন হলো, দেশের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা সেই নৌকার যাত্রী হওয়ার সুযোগ পাবে কি না। নৌকায় খানিকটা বসার বা দাঁড়ানোর স্থান পেলেও তারা কি তাদের নিজস্ব পোশাক, অলংকার ও অন্যান্য সাজে যেতে পারবে? অন্য কথায়, পুনর্গঠিত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে আদিবাসীদের স্বকীয়তা, মর্যাদা ও অধিকারের যথাযথ স্থান হবে কি না। নাকি ১৯৬২ ও ১৯৭২-এর মতো সংবিধান প্রণয়নের তরী তাদের ফেলে রেখে আবারও যাত্রা করবে?

সংবিধান ও পরিকল্পনা
বাংলাদেশকে যদি আমরা একটি বাড়ির সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে এ দেশের আদিবাসীদের অবস্থান এই বাড়ির মূল ঘরের বাইরে ছোট্ট কুঁড়েঘর অথবা বারান্দা। তাই বাংলাদেশের সংবিধানের সংস্কার ব্যতীত আদিবাসীদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা এবং নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর আমাদের সংবিধান প্রণয়নের আগে তৎকালীন গণপরিষদের সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার বহুত্ববাদ ও সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিকতার দাবি যদি গৃহীত হতো, তাহলে হয়তো আজ আর আদিবাসীদের নতুন করে সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রয়োজন হতো না। হয়তো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় সংজ্ঞায়িত করতেও এত ঝামেলা হতো না। নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের বেলায় কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট মুসলমান বনাম বাঙালির দ্বন্দ্বও হয়তো বেড়ে ওঠার সুযোগ পেত না।

বাংলাদেশের সংবিধান ও বৈষম্য দূরীকরণ
আগেই বলেছি, সাংবিধানিক সংস্কার ব্যতীত আদিবাসীর পরিচয়, স্বকীয়তা ও অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, বর্তমান সংবিধানে কি আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত না? এ প্রশ্নের সাদামাটা উত্তর হলো, ‘না’। ‘হ্যাঁ’ আপনি বলতে পারেন, কারণ সংবিধানে তো বর্তমানেও লেখা আছে ‘ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের’ কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য করতে পারবে না। নির্মম বাস্তবতা বলে, বৈষম্যহীনভাবে যদি রাষ্ট্রের আচরণ থাকত, তাহলে কি সুপেয় জল ও চিকিৎসার অভাবে সদ্য সন্তানপ্রসবা আদিবাসী তরুণী মা ও শিশুর জীবন দিতে হতো? উদ্বাস্তু পাহাড়ি শিশুদের বন্য আলু খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে হতো? বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করার জন্য সাধারণ প্রশাসন ও সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জমির দলিল দেখাতে হতো বা ভাবনা (Maditation) কেন্দ্রের জন্য কেন পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত লাগবে, তা কাগজে-কলমে প্রমাণ দিতে হতো? সম-অধিকার ও বৈষম্যহীনতাসংক্রান্ত বিধানাবলির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান সংবিধানের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে নীতিনির্ধারক ও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা সহজেই বুঝতে পারেন যে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে একই রকম পদক্ষেপের মাধ্যমে সর্বদা ন্যায্য ফল পাওয়া যায় না।

সমতা, বৈষম্যহীনতা ও অসাম্প্রদায়িকতা
বর্তমান সংবিধানের সম-অধিকারসংক্রান্ত বিধানাবলির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। একটি প্রধান কারণ হচ্ছে, ‘সমাজের অনগ্রসর’ অংশের মধ্যে কি আদিবাসীরা অন্তর্ভুক্ত কি না এই প্রশ্ন। অন্তর্ভুক্ত হলে রাষ্ট্র তাদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারবে এবং তা বৈষম্যবিরোধী বিধানের লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে বিবেচিত হবে না। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, গেল ১২ ও ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ একটি রিট মামলায় ১৯৯৮ সালের পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধনী) আইনের কিছু বিধান সংবিধানবিরোধী ও বেআইনি মর্মে ঘোষণা দেন। অনুরূপভাবে পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে রাজাদের স্থায়ী বাসিন্দার সনদপত্র প্রদানের বিধানকেও বেআইনি ঘোষণা করেন। আঞ্চলিক পরিষদসংক্রান্ত পুরো আইনটিকেই অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা দেন। কাজেই এসব বিশেষ বিধানসংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদসমূহে ‘আদিবাসী’ শব্দের সংযোজন হলে এই অস্পষ্টতার অবসান হবে।

আদিবাসী ও ‘অনগ্রসর’ নাগরিক
পার্বত্য চট্টগ্রামসংক্রান্ত ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-উত্তর আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আইনের ভূমিকার অংশে পার্বত্য অঞ্চল এবং সংশ্লিষ্ট জেলাকে ‘অনগ্রসর উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই উল্লেখ ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীসমূহের শিক্ষাগত দুরবস্থা, অনুন্নত যাতায়াতব্যবস্থা, বাজারজাতকরণের সমস্যা, পানীয় জল ও পয়োনিষ্কাশনের অব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, বিদ্যুতের অভাব ইত্যাদি দেখিয়েও বদীউজ্জমানের মামলায় হাইকোর্টের ‘অনগ্রসরতার’ অগ্নিপরীক্ষা পাস করতে পারল না আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ। এই রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ অবশ্যই করি, যেহেতু আঞ্চলিক পরিষদের আইনজীবীদের মধ্যে ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার সারা হোসেনের সঙ্গে আমিও ছিলাম। কিন্তু আমার আপত্তি এই মুহূর্তে ‘অনগ্রসর’ শব্দ নিয়ে।
যেকোনো এলাকা অনগ্রসর হতে পারে, উন্নয়নের মাপকাঠিতে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ আইনে লেখা আছে। তবে নাগরিকের অংশ কীভাবে অনগ্রসর হয়? ‘অনগ্রসর’ পার্বত্য চট্টগ্রামের জুমিয়া কৃষকের মেয়ে বা ছেলে যখন কোটায় ভর্তির পর পাস করে চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হয়? তার আগে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বণ্টনের সময় কি তাকে ‘কোটার’ জন্য অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়? কখনো না। পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীরা ‘প্রান্তিক’ জনগোষ্ঠীর সদস্য হতে পারে, ‘সুযোগবঞ্চিত’ হতে পারে, ‘অধিকারবঞ্চিত’ তো বটেই, তবে কোনো যুক্তিতে তাদের ‘অনগ্রসর’ বলা যায় না।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সাংবিধানিক বিধানাবলি ও বাংলাদেশের সংবিধান
ব্রিটিশ আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৎকালীন রাজাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ভারতে শাসন আইন ১৯১৫ ও ১৯১৯ এবং ভারত শাসন আইন ১৯৩৫-এ পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা (যথাক্রমে ‘Backward Tracts’ I ‘Excluded Area’) রেখে দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে ১৯৫৬ সালের সংবিধানে Excluded Area-এর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা হয়, তবে ১৯৬২ সালের সংবিধানে এর মর্যাদা ‘Tribal Area’-মর্যাদায় রূপান্তরিত করা হয়। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস যে পাকিস্তান আমলে যখন পার্বত্য অঞ্চলে গণতন্ত্রের নামে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়, তার পরই Tribal Area-এর মর্যাদা তুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই ঢাকার হাইকোর্ট মোস্তফা আনসারীর রিট মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনে বহিরাগত বহিষ্কারসংক্রান্ত বিধান, Rule 51-কে সংবিধানবিরোধী ও বেআইনি মর্মে ঘোষণা দেন। এতে পার্বত্য অঞ্চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাঙালি অভিবাসনের সূচনা হয়।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধানে ময়মনসিংহের শ্রীবর্দী, নালিতাবাড়ী, হালুয়াঘাট, ফুলপুর, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা ‘Partially Excluded Area’ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কবে এবং কীভাবে এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়, তা আমার জানা নেই। ষাটের দশক থেকে তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এই অঞ্চলে অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাঙালি অভিবাসনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। বর্তমান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন হালুয়াঘাট থেকে অনেকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে তাঁর মতো অন্য কোনো গারো (মান্দি) বা অন্য আদিবাসী সমতল অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হতে পারবেন তার আশা ক্ষীণ, যদি না আদিবাসীদের জন্য সংসদে বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে বিগত দুই দশকে দুবার বাঙালি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাই পার্বত্য এলাকার রাজনৈতিক নেতারা ও নাগরিক সমাজের নেতারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংসদীয় আসনসহ বিশেষসংখ্যক আদিবাসী সংসদীয় আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। কিছুটা ভারতের মতো ও নিউজিল্যান্ডের মাওরি আদিবাসীদের জন্য সাধারণ সংসদীয় আসন অথবা মাওরি সংরক্ষিত আসনে তাদের পছন্দ অনুসারে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

আদিবাসী ও অ-আদিবাসী
সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের পরিচয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তাদের জাতিগোষ্ঠীর স্বকীয়তা রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আদিবাসীরা সম্পৃক্ত হতে পারবে। আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জনগোষ্ঠী যে আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হবে, তা বিশ্বাস করা অবাস্তব। যথাযথ স্বীকৃতি পেলে আদিবাসীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পরিবারের পূর্ণ সদস্যপদ পাবে মাত্র এবং একটা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে।
আদিতে থাকা ছাড়াও আদিবাসীদের আদিবাসী পরিচয়ের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বা সূচক রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি, সনদ ও প্রতিবেদনে স্বীকৃত। এর মধ্যে হলো (১) তাদের প্রান্তিক অবস্থান, (২) প্রথাগত আইন অনুসরণ করে সনাতনী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিরোধ নিষ্পত্তি করা, (৩) প্রাচীন আবাসভূমির সঙ্গে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ও আত্মিক সম্পর্ক থাকা, (৪) নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি থাকা।
তবে অধিকারের দৃষ্টিতে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় আধুনিক রাষ্ট্র গঠন ও উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারণ, সংবিধান ও প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানাসংক্রান্ত আইন ও বিধান রচনায় তাদের অসম্পৃক্ততা।

আদিবাসী অধিকার সংরক্ষণে অন্যান্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ
আদিবাসীদের পরিচয় যথাযথভাবে স্বীকৃতি প্রদান ছাড়াও আদিবাসীদের স্বকীয়তা ও অধিকার রক্ষায় সংবিধানে অন্যান্য সম্পূরক বিধান সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সম-অধিকার বিধানে আদিবাসীদের প্রত্যক্ষ উল্লেখ (যা আগে বলেছি), সংবিধানসহ অন্যান্য আইন সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আদিবাসীদের যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করা, সংসদে ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত আসন রাখা এবং আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা করে সেসব আইন সাংবিধানিকভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা— যথা—পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৮৮৯ (১৯৯৮-এর সংশোধনীসহ), পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮।

সাংবিধানিক সংস্কার ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিকতা
আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তা না হলে পঞ্চম সংশোধনীর রায় কার্যকর করতে গিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়া যাবে না।
রাষ্ট্রকে জাতিনিরপেক্ষ, ভাষানিরপেক্ষ, শ্রেণীনিরপেক্ষ ও লিঙ্গনিরপেক্ষ হতে হবে। আমাদের দেশের ইতিহাসে অসাম্প্রদায়িক শাসক ছিলেন, কবি ছিলেন, গায়ক ও গায়িকা ছিলেন, শিল্পী ছিলেন। স্মরণ করি পাল রাজা, সেন রাজা, মুসলমান সুলতান ও নবাব, লালন ফকির, হাসন রাজা, নজরুল ইসলাম ও শামসুর রাহমানকে। তাঁদের উত্তরসূরি হয়ে আমরাও জাতি হিসেবে তাঁদের দর্শন ও নীতি অনুসরণ করলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান ও গৌরব বাড়বে।
দেবাশীষ রায় ওয়াংঝা: চাকমা সার্কেলপ্রধান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।  








--------

Lighting thousand candles: Sajek-Khagrachari attack victims remembered

Lighting thousand candles: Sajek-Khagrachari attack victims remembered


February 23, 2011

THOUSANDS of candles have been lighted in a number of Buddhist temples
throughout the CHT in memory of those killed in deadly communal
attacks in Sajek last year.

Hundreds of men and women participated in the ‘Lighting Thousand
Candles’ program today called by Sajek Nari Samaj (Sajek Women’s
Association).

Today also marks one year since the attack on Jumma residential areas
in Khagrachari.

The Khagrachari attack was carried out two days after the Sajek
attack, which left at least four Jumma people dead.

The settlers had burnt down 39 houses and business establishments in
their brutal attack in Khagrachari.

In Khagrachari, the ‘lighting thousand candle’ was held at Yoongdaw
Buddhist temple, Shibli Buddhist temple, Upali Buddhist temple,
Dashbal Buddhist temple and Dharmapur Bana Vihar.

Similar programmes were also held in different temples in Panchari,
Mahalchari, Dighinala, Guimara, Laxmichari and Ramgarh.

In Rangamati, the program was held in a number of Buddhist temples
including Ratnagkur Buddist temple, Shankholapara Binoy Ratna Buddhist
temple, Borpulpra Shakyomoni Buddhits temple, South Morachengi Moitree
Buddhist temple, Gorjontoli Shakyamuni Buddhist temple, Jagonatoli
Chittananda Buddhist temple, Banduk Bhanga Bharbochug Bana Vihar and
Likyangchara Buddhist temple.





.............................
source: chtnews.com

Wednesday, February 23, 2011

Six Jummas tortured in Naniachar

Six Jummas tortured in Naniachar

February 23, 2011

AT least six Jummas have been tortured in Naniachar as hundreds of
villagers blocked Khagrachari – Rangamati road at Choudda Mile,
protesting a bid to grab land by settlers.

Of the tortured, five are school boys – from Betchari General Somani
High School. They were beaten by a group of soldiers from Naniachar
zone at 10am.

Their names are Suken Chakma son of Indra Bilash Chakma (class nine);
Dipon Chakma son of Sumi Ranjan Chakma (class nine); Refine Chakma son
of Tarani Ranjan Chakma (class eight); Intu Chakma son of Ananda
Bilash Chakma (class seven); and Rifel Chakma son of Sumati Ranjan
Chakma (class eight).

While Suken Chakma is from Hajachari village, the rest four are from Dojor Para.

The army tortured them at Betchari bazaar without reason.

In another incident, the settlers beat Pintu Lal Chakma, 32, son of
Pottey Moni Chakma at Betchari.

The incident took place at 12 noon when Pintu was on his way to
Maischari to visit his father-in-law.

He was traveling on foot as no vehicles were plying on Rangamati –
Khagrachari road owing to the road blockade programme.

The settlers also took away a mobile hand set, money and clothes from him.

Organiser of UPDF Rangamati district unit, Alakesh Chakma and
Democratic Youth Forum convener Mithun Chakma condemned the beating of
the innocent Jummas and demanded that the government stops land
grabbing in Chouddha Mile and elsewhere in the CHT and returns those
already taken away.

They said the ultra communal elements in the army and settlers are
plotting to push the CHT towards instability and conflict.

They urged all the peace loving citizens to remain on guard against it.
.............................

source: chtnews.com

ফিরে দেখা বাঘাইছড়ি দোষীদের বিচার কি হবে না?- ইলিরা দেওয়ান

ফিরে দেখা বাঘাইছড়ি
দোষীদের বিচার কি হবে না?

ইলিরা দেওয়ান | তারিখ: ২৩-০২-২০১১

বাঘাইছড়ি সহিংসতার এক বছর পরেও সেখানে ভীতির আবহ কাটেনি। এত দিনেও এ ঘটনায় জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত চার শতাধিক পরিবার এখনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে আছে। বাঘাইছড়ি, খাগড়াছড়ি, মাইচছড়ি, মহালছড়ি, নানিয়াচর, লোগাং, লংগদু, মাল্যায় একের পর এক সহিংসতা আমরা দেখলাম। সহিংসতার ঘটনাগুলো একসময় ক্রমে ধূসর হয়ে পড়ে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা সেই গভীর ক্ষত বয়ে বেড়ায় সারা জীবন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়নের এমন দগদগে ঘা শুকোতে আর কতকাল অপেক্ষায় থাকতে হবে? পাহাড়ের জনগণ সরকারের কাছ থেকে কবে পাবে এ প্রশ্নের উত্তর?
দেশব্যাপী সর্বশেষ জরুরি শাসন চলাকালে বাঘাইহাটের গঙ্গারামমুখ এলাকায় যখন নতুনভাবে বাঙালি বসতি স্থাপিত হয়, তখন থেকেই সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সূত্রপাত। আর এই উত্তেজনার প্রথম বলি লাদুমণি চাকমা। ২০০৮ সালের ১৯ আগস্ট তাঁর নিজের ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে বাড়ির অদূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। লাদুমণি পরিবারের অন্য সদস্যরা সন্ত্রাসীদের চিনতে পারলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। উপরন্তু সন্ত্রাসীরা লাদুমণি পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। ২০০৮ সালে লাদুমণি হত্যা থেকে শুরু হয়ে ২০১০ সালে বুদ্ধপুদি, লক্ষ্মীবিজয় চাকমা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ভূমিবিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির সহিংস ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য নতুন কোনো ঘটনা ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায়সব সহিংসতার পেছনে ভূমিবিরোধই ছিল মুখ্য নিয়ামক। তাই শুধু চুক্তি বাস্তবায়নের আশ্বাসে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি আসা সম্ভব নয়। সবার আগে দরকার যত দ্রুত সম্ভব ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ। ভূমি কমিশনের বর্তমান আইন দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জটিল ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি যে অসম্ভব, সেটি বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি সংসদ উপনেতা ও চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাজেদা চৌধুরী বলেছিলেন, শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে ভূমি কমিশন আইনের ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলো উত্থাপন করে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যদিও এখন পর্যন্ত এর আভাস মেলেনি।
বাঘাইছড়ির সহিংসতা খাগড়াছড়ি জেলা সদরেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেনানিবাসের মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ গজ দূরে মহাজনপাড়ায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর পৌঁছাতে যে সময় লেগেছে, ওই সময়ে ইতিমধ্যে ১০-১২টি বসতঘর ও কয়েকটি পাহাড়ি মালিকানাধীন দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অন্যদিকে থানার ২০০ গজের মধ্যে হাইস্কুলপাড়ায় শিক্ষকের বাসায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা ও প্রতিরোধের ব্যবস্থাও নিতে পারেনি। তাই সেদিনের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি এ সহিংস ঘটনা রোধ করতে না পারার দায়ও প্রশাসন এড়াতে পারে না। শুধু সদর ওসিকে তৎক্ষণাৎ বদলি করে এ গভীর ক্ষতের দায়মুক্তি হয় না।
খাগড়াছড়ি সহিংসতার সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনশেষে। সকালের সহিংসতার পর বেলা দুইটার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা প্রচার করা হয় মাইকযোগে। অথচ বিকেল চার-পাঁচটায় ১৪৪ ধারা ঘোষিত এলাকা থেকে বিপুল জমায়েত হয়ে মারমা-অধ্যুষিত গ্রাম সাতভাইয়াপাড়ায় হামলা চালিয়ে গ্রামের অধিকাংশ বসতঘর (৪০টির অধিক) জ্বালিয়ে দেওয়া সম্ভব হলো। তাহলে কি প্রশাসনের নিরাপত্তাব্যবস্থা এত দুর্বল ও ঠুনকো যে শহরের একপাশ নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আরেক পাশ সম্পূর্ণ অরক্ষিত থাকে?
ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি। বাঘাইছড়ির সহিংস ঘটনার কাভারেজ দিতে গিয়ে ঢাকা থেকে যেসব সাংবাদিক খাগড়াছড়ি শহর পর্যন্ত পৌঁছেছেন, তাঁদের আর বাঘাইছড়ি যেতে হয়নি। তাঁদের খাগড়াছড়ি জেলা সদরেই এর হিংস্র রূপ দেখতে হয়েছে। কয়েকজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে হামলারও শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে সহিংসতার পর গণগ্রেপ্তার চালানোর সময় পাহাড়ি-অধ্যুষিত গ্রামে অভিযান চালিয়ে আইনজীবী, চাকরীজীবী, নিরীহ সাধারণ স্কুলছাত্রদের ঘর থেকে বের করে এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পাহাড়ের ছোট্ট শহরগুলোর এই হলো বৈচিত্র্যপূর্ণ শাসনব্যবস্থা!
বাঘাইছড়ি-খাগড়াছড়ির সহিংসতার পর প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি গোয়েন্দা-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন (সমকাল, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রয়োজনে পাহাড়ে আরও সেনা মোতায়েন করা হবে (প্রথম আলো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাঘাইহাট পরিদর্শনকালে বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, অন্যান্য অঞ্চল থেকে পার্বত্য এলাকায় অধিক হারে গোয়েন্দা উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও যেখানে এ সহিংসতার কিছুই তারা আঁচ করতে পারেনি, সেখানে শুধু গোয়েন্দা-তৎপরতা বাড়িয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো কেন? আর সেনা মোতায়েন করে তো পাহাড়ের সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের নিরাপত্তা কোনো বিশেষ বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর নির্ভর করে না। তা ছাড়া, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণার পরও গত এক বছরে এই সহিংস ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার বা বিচারের আওতায় এসেছে বলে শোনা যায়নি। তাই পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে দরকার আন্তরিকতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনামনস্ক প্রশাসন, যেটি মানুষের মূল্যবোধ ও অধিকারকে সমানভাবে অগ্রাধিকার দিতে পারবে।
বাঘাইছড়ি ও খাগড়াছড়ির ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক কমিশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছিল।
ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস। অধিকার আদায়ের মাস। রক্তাক্ত বাঘাইছড়ি ঘটনার এক বছর পর পাহাড়ের মানুষ আবারও জোর দাবি জানাচ্ছে—বাঘাইহাট-খাগড়াছড়ি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হোক। এর পাশাপাশি দেশের অপরাপর সব ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হোক। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে আদিবাসী শিশুদের শিক্ষার মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা হোক।
ইলিরা দেওয়ান: মানবাধিকারকর্মী ও কলাম লেখক।
ilira.dewan@gmail.com


CHT Commission letter: Violence in Langadu, Rangamati, Chittagong Hill Tracts

CHT Commission letter: Violence in Langadu, Rangamati, Chittagong Hill Tracts


-----------

22 February 2011
To
The Honourable Prime Minister, Sheikh Hasina
Government of the People’s Republic of Bangladesh
Prime Minister’s Office
Tejgaon, Dhaka
Re: Concern over reports of recent violence in Langadu, Rangamati, Chittagong Hill Tracts

The International Chittagong Hill Tracts Commission (CHTC) takes this opportunity to convey its respectful greetings to you.
The commission is deeply concerned by the recent reports of violence against Jumma people in several places in the Chittagong Hill Tracts (CHT).
On 17 February 2011, we received reports that about 300 Bangali settlers attacked and burnt down Jumma people’s homes in Rangipara village in Langadu upazilla of Rangamati district. The Bangali settlers allegedly are said to have instigated this attack after they found the dead body of a Bangali settler in a nearby village. During this time, we were informed that although members of the Border Guards Bangladesh (BGB) were present, they did nothing to stop the attacks and prevent the Jumma peoples’ houses from being burnt down.
A day after this incident, there were allegations that members of the Army were raiding homes of the Jummas and beating up villagers in Kudukchari of Rangamati, following protests made by the Jummas against the attacks in Langadu. We have also received reports that people in Baghaihat, Rangamati have been prevented from commemorating the anniversary of the arson attacks in Baghaihat in February 2010 through memorial and mourning ceremonies and programmes.
Over the past few decades, there have been several occasions wherein Bangali settlers are alleged to have attacked Jumma settlements following the death, injury or other harm to a Bangali settler, allegedly caused by a Jumma individual or group. In each case, the attackers did not wait to obtain conclusive evidence of the truth or otherwise of the allegation. There have been allegations, in each of these cases, of complicity between the settlers and the members of the security forces, either in the form of direct involvement in the attacks, or tacit support, in either case, leaving the Jummas without adequate protection from violent attacks. In none of these cases has an impartial and independent enquiry been conducted under government auspices. Consequently, those responsible have evaded prosecution and punishment, and, no deterrent measures have been taken by the government to prevent the recurrence of such attacks.
A year has passed since the arson attacks in Baghaihat, Rangamati and Khagrachhari town, which led to the burning down of more than 500 homes, mostly of the Jummas. The CHTC notes with much disappointment that no impartial enquiry has been conducted under governmental auspices to determine the identity of the attackers and to punish those guilty, and to rehabilitate and compensate the victims and to take adequate deterrent and protective measures.
Under these circumstances we urge the government to:
  1. Form a high-level impartial commission of enquiry, under governmental auspices, but independent of the government, to investigate into the recent attacks in Langadu, Rangamati and the February 2010 arson attacks in Baghaihat, Rangamati and in Khagrachhari town.
  2. Identify or help identify those individuals, whether government employees or otherwise, who are responsible for the attacks by commission, omission, abetment or conspiracy.
  3. Facilitate the punishment of those guilty for acts, omissions, abetment or conspiracy, and to take measures for the protection of those vulnerable, and to take appropriate measures to prevent such occurrences in future.
The CHTC is immensely troubled by the fact that members of the government security forces, who are doing such gallant work as part of the global UN peacekeeping forces, are implicated as colluders with the Bangali settlers in carrying out such attacks against the indigenous people of the country, time and again.
We urge the government to issue instructions to military, para-military, police and para-police personnel posted in the CHT to protect all communities, without discrimination, and to provide special protection to communities that have a recent history of such attacks or vulnerability.
Violations of such instructions should be dealt with in a strict manner.
On behalf of the CHT Commission
Eric Avebury                            Sultana Kamal                                     Ida Nicolaisen
Co-chair of the                        Co-chair of the                       Co-chair of the
CHT Commission                                 CHT Commission                    CHT Commission






cc to:
1.                  Syeda Sajeda Chowdhury, MP, Honorable Deputy Leader of the House & Chairperson, National Committee for Implementation of the Chittagong Hill Tracts Accord.
2.                  Dr. Dipu Moni, MP, Honourable Minister, Ministry of Foreign Affairs, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
3.                  Barrister Shafique Ahmed, Honourable Minister, Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
4.                  Mr. Syed Ashraful Islam, MP, Honourable Minister, Ministry of Local Government, Rural Development and Cooperatives, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
5.                  Mr. Rezaul Karim Hira, MP, Honourable Minister, Ministry of Land, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
6.                  Mr. Jyotirindra Bodhipriya Larma, Honourable Chairman, CHT Regional Council, Rangamati.
7.                  Mr. Dipankar Talukdar MP, Honourable State Minister, Ministry of CHT Affairs, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
8.                  Dr. Hasan Mahmud, Honourable State Minister, Ministry of Environment & Forests, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
9.                  Mr. Promod Mankin, MP, Honourable State Minister, Ministry of Cultural, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
10.              Mohammad Shah Alam, MP and Chairman, Parliamentary Standing Committee, Ministry of CHT Affairs, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Dhaka.
11.              Mr. Jatindra Lal Tripura, MP and Chairman, CHT Task Force on Returnee Refugees and Internally Displaced People, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Khagrachari.
12.              Mr. Bir Bahadur, MP and Chairman, CHT Development Board, Government of the People’s Republic of Bangladesh, Rangamati.
13.              Justice Khademul Islam Chowdhury, Chairperson, CHT Land Commission.
14.              Mizanur Rahman, Chairman of National Human Rights Commission (NHRC).


----------

ConcernLetter-Feb2011Attacks                                                            

source: http://www.chtcommission.org/2011/02/pmletter/

URGENT APPEAL: BANGLADESH: Arson attack on Jumma minority community in Rangamati, Chittagong Hill Tracts

The Hague, The Netherlands
 
URGENT APPEAL: BANGLADESH: Arson attack on Jumma minority community in Rangamati, Chittagong Hill Tracts
[UA-BA-22-02-2011]
                                                                                     
ISSUES:  Minority rights, Chittagong Hill Tracts, Right to Property, Destruction of houses and schools


Dear Friends,
 
On 17 February 2011, around 200-250 Bengali settlers attacked the Jumma villages of Gulshakhali and Rangi Para areas in the Rangamati district of the Chittagong Hill Tracts. Around 23 houses of Jumma villagers and one school were burnt to ashes and two Jumma students were seriously injured.
This event has been highlighted and verified by various organisations including Parbattya Chattgram Jana Sanghati Samity (PCJSS), the Kapaeeng Foundation, The Jumma Peoples Network UK and GHRD’s local partner organisation, the Bangladesh Institute for Human Rights (BIHR). GHRD wishes to add its voice to these organisations in condemning these attacks and demanding justice for those Jumma villagers who were subject to the attacks.

Case Details     
On 17 February 2011 around 200-250 Bengali settlers from the Gulshakhali settler area under Longadu Upazila in Rangamati district staged demonstrations and attacked and set fire to the Jumma villages of Gulshakhali and Rangi Para areas in the Rangamati district of the Chittagong Hill Tracts.

The event occurred shortly after the death of a Bengali settler who went to collect firewood in the forest on Tuesday and did not return. His body was found in Rangipara on Wednesday. The Bengali settlers then carried his dead body during the demonstrations, creating tension and allegedly accusing the Jumma of being responsible for his death. They mounted an arson attack burning around 23 Jumma houses and one school to ashes (the exact number of houses is as yet unknown) and injuring two Jumma students. The reported number of houses burned down varies, while the PCJSS estimates around 23 houses burned, the officer-in-charge of Longudu Police Station said he heard about 12-14 houses being burnt and this number is confirmed by the Kapaeeng Foundation.

According to PCJSS, Jumma villagers gathered themselves and tried to defend the remaining houses and face off the Bengali settlers. Jumma leaders also informed the local administration including police. However, according to BIHR and PCJSS, no action was taken by the police to stop Bengali settlers from attacking. Furthermore, those watching the attacks saw members of the Border Guards of Bangladesh (BGB) who stood by as onlookers while the Bengali settlers set fire to the Jumma houses. It is also alleged by PCJSS that the attack was mounted under the leadership of the Bagachatar union council chairman Wazed Ali and Gulishakhali union council chairman Abdur Rahim, who is also general secretary of Langadu upazila Awami League. This has been denied by Wazed Ali who argued that the BGB intervened quickly and brought the situation under control. However, this is contrary to eye witness reports which confirmed that the BGB stood by watching and stayed silent during the attacks, effectively encouraging the arsonists.

Recommendations
This pattern of attacks is not new but rather follows numerous past instances when Bengali settlers have attacked the indigenous Jumma. GHRD expresses its concern and condemns the violence that has occurred against the indigenous Jumma villages on this occasion and in the past few years. Taking into consideration that this incident is not an isolated event, GHRD urges the authorities to:
    1. Take all necessary measures to restore tolerance in the area and ensure the future safety of the indigenous people subject to attack
    2. Thoroughly and impartially investigate the event and identify the main perpetrators, bringing those responsible to justice
    3. Ensure exemplary punishment of the perpetrators who were directly or indirectly involved in this violation of human rights
    4. Investigate the involvement of the Bangladesh Border Guards in these attacks
    5. Investigate and reprimand the lack of action taken by the authorities to stop the attacks, despite being at the scene
    6. Take all measures to fulfil the election promises two years ago and to fully implement the Chittagong Hill Tracts Peace Accord
    7. Issue instructions to military, para-military, police and para-police personnel posted in the CHT to protect all communities without discrimination and to provide communities that have a recent history of such attacks or vulnerability special protection.
    8. Ensure the cooperation of the National Human Rights Commission of Bangladesh.
In order to help, please print the following sample letter and send it to the relevant authorities found below:


Sample letter:

Dear ­­­_____________,

I would like to express my concern about the news I received from Global Human Rights Defence of the arson attacks against Jumma villages in the Rangamati area of the Chittagong Hill Tracts. According to the information I received from GHRD on the 22 February 2011, upwards of 200 Bengali settlers launched demonstrations and arson attacks against Jumma villages in the Gulshakhali and Rangi Para areas in the Rangamati district, burning down 23 Jumma houses and one school and injuring two Jumma students. The event followed the death of a Bengali settler, who went to collect firewood in the forest on Tuesday and did not return. The event occurred shortly after the death of a Bengali settler who went to collect firewood in the forest on Tuesday and did not return. His body was found in Rangipara on Wednesday. The Bengali settlers then carried his dead body during the demonstrations, creating tension and allegedly accusing the Jumma of being responsible for his death.

According to PCJSS, Jumma villagers gathered themselves and tried to defend the remaining houses and face off the Benglai settlers. Jumma leaders also informed the local police who arrived at the scene but stood by silent, taking no action to stop the attacks. Furthermore, eye witnesses alleged that Bengali settlers were backed by members of Border Guards of Bangladesh who stood by as onlookers during the attacks.  It is also alleged by PCJSS that the attack was mounted under the leadership of the Bagachatar union council chairman Wazed Ali and Gulishakhali union council chairman Abdur Rahim, who is also general secretary of Langadu upazila Awami League. This has been denied by Wazed Ali who argued that the BGB intervened quickly and brought the situation under control. However, this is contrary to eye witness reports which confirmed that the BGB stood by watching and stayed silent during the attacks, effectively encouraging the arsonists.

Following these terrible attacks, I request the authorities to restore tolerance in the locality, ensure the future safety of the indigenous Jumma who were subject to the attack, and investigate and prosecute those directly and indirectly responsible. I also request an investigation into the involvement of the Bangladesh Border Guards in this attack.

I trust that you will take immediate action regarding this serious matter.

Yours sincerely,

-----------------------------
In order to help, please write to the authorities listed below: 

PLEASE SEND YOUR LETTERS TO:

1. Mrs. Sheikh Hasina     
Prime Minister
Government of the People's Republic of Bangladesh
Office of the Prime Minister
Tejgaon, Dhaka
BANGLADESH
Fax: +880 2 811 3244 / 3243 / 1015 / 1490
Tel: +880 2 882 816 079 / 988 8677
E-mail: pm@pmo.gov.bd or ps1topm@pmo.gov.bd or psecy@pmo.gov.bd

2. Barrister Shafique Ahmed
Minister
Ministry of Law, Justice & Parliamentary Affairs
Bangladesh Secretariat
Dhaka-1000
BANGLADESH
Tel: +880 2 7160627
Fax: +880 2 7168557

3. Ms. Sahara Khatun MP
Minister
Ministry of Home Affairs
Bangladesh Secretariat
Dhaka-1000
BANGLADESH
Tel: +880 2 7169069
Fax: +880 2 7160405, 880 2 7164788

4. Mr. Nur Mohammad
Inspector General of Police (IGP)
Bangladesh Police
Police Headquarters
'
Fulbaria, Dhaka-1000
BANGLADESH
Fax: +880 2 956 3362 / 956 3363
Tel: +880 2 956 2054 / 717 6451 / 717 6677
E-mail: ig@police.gov.bd
5. Md. Asaduz Zaman Mia, PPM
Deputy Inspector General of Police (DIG)
Chittagong Range Bangladesh Police Office of the DIG of Chittagong Range
Chittagong BANGLADESH
Tel: +88 031 650120/+88 031 655466 (O)
Fax: +88 031 652111 (O)
 
 
6. Mr. Dipankar Talukdar MP
Honorable State Minister
CHT Affairs Ministry
Government of the People’s Republic of Bangladesh Bangladesh Secretariat,
Dhaka BANGLADESH
Tel: +880-2- 7161774
E-mail: mochtadh@bttb.net
 
7. Mr. Jyotirindra Bodhipriya Larma
Chairman
CHT Regional Council
Rangamati, Chittagong Hill Tracts
BANGLADESH
Tel: +88-0351-63381;Fax: 0351-63278
E-mail: chtrc@yahoo.com
 
8. General Md Abdul Mubeen
Chief of Army Staff
Bangladesh Army
Army Headquarters
Dhaka Cantonment, Dhaka
BANGLADESH
Fax: +880 2 875 4455, Tel: +880 2 987 0011
E-mail: itdte@army.mil.bd
 
9. Justice (Rtd) Amirul Kabir Chowdhury 
Chairman 
Bangladesh National Human Rights Commission 
House # 6/3, Block # D, Lalmatia, Dhaka BANGLADESH 
Tel: +88 02 9137724 
Fax: 088-02-9137743


Please send us a copy of any action that has been taken distributing our message, and a copy of any responses received.

Thank you.

This message has been sent by GHRD* to local authorities and International Organisations in order to spread the message, increase awareness, and encourage action be taken to bring perpetrators of human rights violations to justice.
 
 
Global Human Rights Defence  
Urgent Appeals Desk
Laan van Meerdervoort 70
2517 AN The Hague
The Netherlands
+31(0)070 3456975
+31(0)703926575

Road blockade in Rangamati protesting land grab attempt, two arrested


Road blockade in Rangamati protesting land grab attempt, two arrested
 
 February 23, 2011

JUMMA villagers in Choiddo Mile have blocked Rangamati – Khagrachari
road protesting attempts by settlers to grab lands belonging to a
Buddhist temple.

The impromptu road blockade programme began early in the morning today
with hundreds of Jumma men and women blocking traffic.

They demand that the government must stop the settlers from trying to
capture land belonging to Choiddo Mile Buddhist Temple.

The settlers yesterday piled house building materials on the said
land, implying that they want to occupy the land by force.

This move of the settlers was in breach of a deal in which both the
Jummas and settlers had agreed to settle the issue under Naniachar
UNO’s mediation.

A meeting is scheduled to be held today at the UNO’s office as part of the deal.

However, the Jummas said participation in the meeting is useless since
the settlers have already violated the agreement.

Arrest
Meanwhile, another report says in a bid to break the blockade the army
has arrested two Jummas while they were demonstrating on the road.

The arrested are Satyo Chakma, 25, and Sneha Kumar Chakma, 45, son of
Pass Ranjan Chakma.
.............................
 
source: chtnews.com

Law and order meeting in Kaokhali: UPDF raises question about administration’s neutrality

Law and order meeting in Kaokhali: UPDF raises question about
administration’s neutrality


February 22, 2011

THE United Peoples Democratic Front (UPDF) has raised questions about
neutrality of the local administration in Kaokhali.

At a review meeting on law and order held today at the Hall Room of
the Kaokhali Upazila office, UPDF representative Aongay Marma accused
the local administration of being biased in favor of the settlers.

“You have arrested the Jummas only, and not a single Bengali settler
has been arrested although scores of them were involved in the beating
of innocent people and in the burning down of our party office.” he
said.

He also held the army and police responsible for the spread of
violence yesterday.

“The police were there and above all the police camp is just a stone
throw from UPDF office and yet, when the settlers came in a procession
to attack it, the police did nothing to prevent them.” Aongay told the
meeting.

“The police just stood in silence and let the mob set fire to the
office.” he added.

In his speech, he also pointed out the one-sided remarks of the Awami
League and BNP leaders saying, such attempts to gloss over the crime
and save the culprits would not resolve anything.

Aongay Marma, also president of the Hill Students Council, said his
party would not accept the report of the inquiry committee, formed
yesterday to probe the incident, if it is not objective and neutral.

The law and order review meeting was also attended, among ogthers, by
Kaokhali Upazila chairman Aungsha Prue Chowdhury, Kaokhali Upazila
Nirbahi Officer Abu Dawat Golam Mostafa, Rangamati Region Commander
Brig. Gen. Nazim Uddin, Ghagra Zone Commander Lt. Col. Hassan, 2-IC of
Ghagra Zone Major Hamid, Captain Nazmul, Kaokhali Thana OC Shyamal
Kanti Barua and leaders from local BNP and AL.

Aongay Marma protested Brig. Gen. Nazim Uddin’s remark that students
should not involve themselves in politics.

“Bangladesh would not have born today if the students had kept away
from politics.” Aongay said in reference to the General’s remarks.

Later, Brig. Gen. Nazim changed his statement, saying “What I meant
was that the main duty of a student should be study. I did not say
that students should not do politics.”
.............................

source: chtnews.com

Tuesday, February 22, 2011

Pictures of Longodu Arson Attack

Please find pictures of Longodu Arson Attack on our facebook page :

http://www.facebook.com/album.php?aid=40519&id=142034769174390




Longudu arson victims now in a state of siege

Longudu arson victims now in a state of siege

February 22, 2011

THE victims of the arson attack in Longudu are now living a subhuman
life in a state of siege, said Chonchu Moni Chakma after visiting the
place of occurrence.

Mr. Chakma was part of a three-member team from Khagrachari which
visited the spot on 19 February.

The other members included Monju Lal Dewan and Nipul Chakma.

The team left Khagrachari on 18 February, one day after the incident,
and stayed overnight at Longudu Sadar. The next morning they joined
with another team led by Longudu Upazila Nirbahi Officer and visited
the place of occurrence.

Chonchu Moni said: “We reached the place of occurrence at 11:30am. We
visited the affected villages – Ranjit Karbari Para, Rangi Para and
Shanti Nagar Gram – and spoke to the victims.

“They told us that the settlers had carried out the attack with the
support of the members of the Border Guards Bangladesh and that the
BGB had done nothing to prevent the settlers from looting their
houses.

“The victims further accused the BGB of encouraging the settlers to
set fire to their houses.”

According to him, a total of 24 houses in three villages have been
burnt down. Of these, 19 belong to the Jummas, 3 to the settlers and
two are Para Kendra or village centre.

“However, the huts that the settlers claimed their own and burnt were
not dwelling houses. These were ‘tong ghar’ or kind of small farm
houses, which were rarely used.”

As regards the death of Saber Ali, Chonchu said: “During our visit
many Bengali people told us that the death of Saber Ali, which sparked
the attack, was not unnatural. He had been suffering from various
diseases including high blood pressure. The Jummas were not
responsible for his death.

“Many Bengalis told us that they had asked the settlers not to go and
attack the Jummas.

“The chairman of Gulchakhali Union, Mr. Abu Taleb said Saber Ali had
died a natural death. Yet, a vested interest group had carried out the
attack.”

Chonchu added: “When we reached there, we saw many of the victims were
without food or shelter. They just ate unripe banana. Now the people
of the affected areas are living in a state of siege. If they want to
come to Longudu Sadar, they have to pass through Bengali settlements.
Therefore, they are now afraid of going out of their villages.”

He said the BGB had set up a temporary camp there. “They set up the
camp at Shanti Nagar after uprooting four Jumma families from their
homes.” Chonchu said.

The names of those whose land has been grabbed for the camp are
Santosh Chakma, Sharat Chandra Chakma, Mongol Dhan Chakma and Nabin
Kumar Chakma.
.............................

chtnews.com

STATEMENT: BIHR gravely concerns about the massive communal attack on Jumma villages by Bengali settlers

 

STATEMENT: BIHR gravely concerns about the massive communal attack on Jumma villages by Bengali settlers

 
On 17 February 2011, following a death, the Bengali settlers from Gulshakhali settler area of Gulshakhali union under Longadu upazila in Rangamati district in collaboration with Border Guard of Bangladesh (BGB) (formerly BDR) made a massive communal attack on Jumma villages of Gulshakhali and Rangi Para areas. It is learnt that at least 23 houses of Jumma villagers including one BRAC school were reportedly burnt to ashes in the attack while two Jumma students were seriously injured in another attack made at Tintilya launchghat in Longadu at noon. 
Bangladesh Institute of Human Rights (BIHR) expresses gravely concern about the brutal incident and demand the exepmplary punishment to the culprit who are involved with this heinous communal attacked and arson with proper investigation. BIHR also demand the rehabilitation of the victim of this organized violence.
It is learnt that a dead body of a settler bangali was recovered by the police and BGB from Rangi Para area on who were missed previously 16 February 2011. It is also learnt that Bengali settlers spread communal tension alleging Jumma villagers responsible for the death people and brought out processions separately at Gulshakhali bazar and Choumuhani bazaar and also brought out another procession at Longadu headquarter area at night.
On 17 February 2011 the Bengali settlers again began to spread communal agitation in the areas since morning. At a stage, the Bengali settlers led by the  president of Bangalee Student Council brought out a procession at Longadu headquarter. Police and local administration did nothing to stop spreading communal tension. No sooner ending of procession, two Jumma passengers (students) were attacked by Bengali settlers at Tintilyaghat of Longadu headquarter. They (Jumma students) were severely injured. Later, the injured students were admitted to Rangamati general hospital.
Afterwards, the Bengali settlers again began to gather and at a stage with a group numbering 200-250 made attack on Jumma villages and set fire to the Jumma houses one after another. In the attack, at least 23 Jumma houses including one BRAC school were burnt to ashes. The BGB did nothing to stop the Bengali settlers from setting fire on Jumma houses. However, no action was taken by the administration to stop Bengali settlers from attack.
On the other, a group of BGB of Rangipara Tematha camp led by Habildar Jahangir under Rajnagar BGB zone rushed there at that time and Bengali settlers increased their attack soon after arrival of BGB personnel. Bengali settlers then proceeded to Gulshakhali village and set fire on Jumma houses indiscriminately. Jumma villagers alleged that BGB personnel supported the Bengali settlers while setting fire to the Jumma houses.
It is mentionable that the Bengali settlers who were brought from plain lands and settled down at Gulshakhali, Bogachadar and Kalapagujya areas under Longadu upazila in 1980s have been trying to grab the lands of Jumma people. As a part of this attempt, on 21 December 2010 the Bengali settlers made attack on Jumma village of Shanti Nagar and inhumanly beat 14 Jumma villagers and ransacked 5 houses motivatedly alleging Jumma villagers to beat a Bengali settler who went to jungle to collect firewood.
It is suspected that Saber Ali might be killed by Bengali settlers to create lame excuse for making attack on Jumma peoples. Bengali settlers fabricatedly spread that there were several injuries on dead body. However, a doctor, who made dead body post-mortem and wished not to be named, said that no injury was found.
 
Adv. Shahanur Islam Saikot
LL.B (Hon's); LL.M (Law & Justice)
JusticeMakers Fellow '10, Switzerland

Executive Director
Bangladesh Institute of Human Rights (BIHR)
Flat # B-17, 27, Bijoy Nagar, Dhaka-1000, Bangladesh
Cell: + 88 017 20308080, Ph: +88 02 9349851
Fax: + 88 028352166, Skype:"saikot.bihr" or "bihr.bd"
 
 
 ------------