ঘরহারা ২৫ আদিবাসী পরিবার নয় দিন ধরে জঙ্গলে
ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ির কাকপারিয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন আদিবাসীরা। ছবিটি ২৩ ফেব্রুয়ারি তোলা
প্রথম আলো
আদিবাসীরা অভিযোগ করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঙালিরা ওই দুই গ্রামে তাদের (আদিবাসী) বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের অধিকাংশ আদিবাসী বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর প্রায় ৪০টি আদিবাসী পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। তারা প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কাকপারিয়া জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ২৫টি পরিবার এখনো তাদের ভিটেমাটিতে ফিরতে পারেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন গাছতলা ও খোলা আকাশের নিচে আছে। অনেকে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শান্তিদেবী চাকমা বলেন, ‘আমার ছেলে দুই দিন ধরে অসুস্থ। শুধু বনের লতাপাতা দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।’
বগাচতর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রনু দীপক দেওয়ান বলেন, যাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এখনো জঙ্গলে আছে। সরকার থেকে সাহায্য পেয়ে বাড়িঘর তুলতে পারলে তারা ফিরে আসবে।
ভুক্তভোগী সমর রঞ্জন চাকমা অভিযোগ করেন, ‘ভয়ে এখনো মামলা করতে পারিনি। মামলা না করার জন্য বাঙালিরা আমাদের মুঠোফোনে হুমকি দিচ্ছে।’
লংগদু থানার উপপরিদর্শক শাহাজান আলী বলেন, ‘আমরা আদিবাসীদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি। এখনো কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।’ পরিস্থিতি ভালো হলে আদিবাসীরা মামলা করবে বলে তিনি জানান।’
লংগদু উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বী বলেন, ‘আমরা ৩০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দুই হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে তাদের আরও সাহায্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
No comments:
Post a Comment