Why we want our voice to be heard?

Pages

Sunday, February 27, 2011

বন বিভাগের বিরুদ্ধে জুম চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ



বন বিভাগের বিরুদ্ধে জুম চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি | তারিখ: ২৭-০২-২০১১

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের আদিবাসী জুমচাষিদের বন বিভাগ জুম কাটতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ছয় শ জুমচাষি পরিবার পেশাগত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৪৪ নম্বর কুকখিয়ং মৌজা, ৩৪৫ নম্বর নোয়াপতং ও ৩৪৬ নম্বর ম্রোকখিয়ং মৌজা—তিনটি মৌজা নিয়ে গঠিত নোয়াপতং ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। ইউনিয়নের বাসিন্দা অংথোয়াইচিং মারমা জানান, চাষযোগ্য সমতল ধান চাষের জমি কম হওয়ায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ছয় শ আদিবাসী পরিবার যুগ যুগ ধরে জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কোনো পেশা বা চাষপদ্ধতি না থাকায় লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিবছর জুমচাষ করে থাকে। কিন্তু এ বছর জুমচাষের জন্য জঙ্গল কাটতে গেলে জুমের জমিগুলো সৃজিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পড়েছে দাবি করে বন বিভাগের লোকজন বাধা দিচ্ছেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মহিলা কার্বারিপাড়া এলাকায় গিয়ে পোড়া কয়েকটি জুম দেখা গেছে। এলাকার ইউপি সদস্য হ্লাথোয়াইচিং মারমাসহ পাড়াবাসী অভিযোগ করেন, বন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এসে জুমগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান সম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, বন বিভাগ দাবি করছে, পাড়ার ওই জুমবামগুলোর জমি তাদের ঘোষিত সংরক্ষিত বনভূমি। এ জন্য তারা শীলছড়ি, গঙ্গাপাড়া, সোনাই আগা, ডলুছড়ার ওপর ও নিচের পাড়া, কুক্ষ্যং পাড়াসহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় আদিবাসীদের জুম কাটতে বাধা দিচ্ছে।
বাঘমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রব বলেন, নোয়াপতং ইউনিয়নে বন বিভাগের ছয় হাজার ৭৫০ একর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতে বাগান রয়েছে। ওই বাগান রক্ষার জন্য তাঁরা জুমিয়াদের জুম কাটতে বাধা দিয়েছেন। জুমে বন বিভাগ কোনো আগুন লাগিয়ে দেয়নি দাবি করেন ।  

-------------------
courtesy: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-27/news/134349

No comments:

Post a Comment