Why we want our voice to be heard?

Pages

Sunday, February 27, 2011

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভাষা সম্মেলন আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভাষা সম্মেলন

আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি | তারিখ: ২৭-০২-২০১১

জাতীয় শিক্ষানীতি, পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনসহ বিভিন্ন আইনে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ অধিকার বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
রাঙামাটিতে গতকাল শনিবার আয়োজিত ‘প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম ভাষা সম্মেলন’-এ ভাষা গবেষক, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সব আদিবাসীর ভাষার উন্নয়নে আদিবাসী ভাষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, আদিবাসীদের ভাষার অভিধান তৈরি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন জাতিসত্তার ভাষা কমিটিগুলোকে সচল, আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে আদিবাসী ভাষায় পাঠ্যসূচি প্রণয়নে সেল গঠনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সম্মেলন আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা গ্রাউস, সাস, জাবারাং, টংগ্যা ও সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকে।
রাঙামাটি শহরের আশিকা মানবিক উন্নয়নকেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত সম্মেলনে রাঙামাটি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও গবেষক সুগত চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, আদবাসী ভাষার উন্নয়ন, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আদিবাসীদের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যম ও ব্যবস্থা কেমন হবে, সে বিষয়ে আদিবাসীরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের পরিকল্পনাতেও তা রয়েছে।
দীপংকর তালুকদার বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আদিবাসীদের ভাষা সংরক্ষণ, প্রচলন, গবেষণা ও বিকাশের জন্য একটি স্বতন্ত্র অনুষদ রয়েছে। এই অনুষদটিকে ধীরে ধীরে আদিবাসীদের ভাষার জন্য একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। দেশে যে আদমশুমারি হতে যাচ্ছে, তাতে প্রতিটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যথাযথভাবে তুলে আনার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, সামার ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুইস্টিকের (সিল) সহযোগী পরিচালক ফিওনা মর্গান ও সাংবাদিক হরি কিশোর চাকমা। সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার দেড় শতাধিক ভাষা গবেষক, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপন্ন ভাষা সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট জাতিসত্তার ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ও ললিত সি চাকমা।  

-------

courtesy: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-02-27/news/134407

No comments:

Post a Comment