Why we want our voice to be heard?

Pages

Wednesday, March 30, 2011

পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের তিনটি ধারা সংশোধন হচ্ছে রোজিনা ইসলাম

পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের তিনটি ধারা সংশোধন হচ্ছে

রোজিনা ইসলাম | তারিখ: ২৮-০৩-২০১১


পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের তিনটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই সংশোধনের ফলে পুরোনো আইনে ভূমি বন্দোবস্ত, বিরোধ নিষ্পত্তি, পুনর্বাসিত শরণার্থীদের জমি দখল-বেদখল এবং তা ফিরে পাওয়ার আবেদনের পদ্ধতিতে যে অসংগতি রয়েছে, তা দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে কমিশন আইনের এই তিনটি ধারা সংশোধন করতে একটি অবস্থানপত্র তৈরি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, এ ছাড়া ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি ও জরিপসংক্রান্ত বিষয়ে গত ডিসেম্বরে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকেই ভূমি কমিশন আইনের সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করে সংশোধিত আইন দ্রুত জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির আগে এ-সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করাটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
আঞ্চলিক পরিষদ ভূমি কমিশন আইন, ২০০১-এর মোট ২৩টি ধারা সংশোধনের সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে ছয়টি প্রস্তাব সংশোধনের জন্য ইতিপূর্বে এক সভায় মতৈক্য হয়। এবার তিনটি সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হলো।
যেসব ধারা সংশোধন হচ্ছে: আইনের ধারা ৬(১) ক, গ ও ধারা ৬(১)(গ) এর শর্তাংশ সংশোধন ও সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইনের ৬(১)(ক)তে বলা হয়েছে, ‘পুনর্বাসিত শরণার্থীদের ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন ও রীতি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা’ হবে।
এ ধারা সংশোধন করে ‘পুনর্বাসিত শরণার্থীদের জমিজমাবিষয়ক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা ছাড়াও অবৈধভাবে বন্দোবস্ত ও বেদখল হওয়া সব ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা’ হবে।
ধারা (৬)(১)(গ)তে বলা আছে, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন বহির্ভূতভাবে কোনো বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়ে থাকলে তা বাতিল এবং বন্দোবস্তজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি হতে বেদখল হয়ে থাকলে তার দখল পুনর্বহাল’ করা।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি বহির্ভূতভাবে ফ্রিঞ্জল্যান্ডসহ (জলে ভাসা জমি) কোনো ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া বা বেদখল করা হয়ে থাকলে তা বাতিলকরণ এবং বন্দোবস্তজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি হতে বেদখল হয়ে থাকলে তার দখল পুনর্বহাল’ করা।
এই ধারার শর্তাংশে বলা হয়েছে, প্রযোজ্য আইনের অধীনে অধিগ্রহণ করা ভূমি এবং রক্ষিত বনাঞ্চল, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পকারখানা ও সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডকৃত ভূমির ক্ষেত্রে এই উপধারা প্রযোজ্য হবে না।
এই তিনটি সংশোধনীই আঞ্চলিক পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী করা হচ্ছে।  

------------

No comments:

Post a Comment