Why we want our voice to be heard?

Pages

Saturday, April 30, 2011

সরকারের উদ্দেশে সন্তু লারমা: কেন আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেলেনি ৪০ বছরেও?

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আদিবাসী ফোরামের সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ। ছবি : কালের কণ্ঠ
সরকারের উদ্দেশে সন্তু লারমাকেন আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি
মেলেনি ৪০ বছরেও?
নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু লারমা) সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, কেন ৪০ বছর ধরে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে? তিনি বলেন, '১৯৭২ সালে সংবিধান রচনার সময়ই পাহাড়ি নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সংসদে এই দাবি জানিয়েছিলেন। কোনো গণতান্ত্রিক ও অসামপ্রদায়িক সরকারের পক্ষে দেশের ৪৫টি আদিবাসী জনজাতির প্রায় ৩০ লাখ মানুষের এই দাবি উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা ৪০ বছর ধরে এই দাবি প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছি।'

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক আদিবাসী নারী-পুরুষ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অংশ নেয়। পরে একটি মিছিল বের হয়।

সমাবেশে সন্তু লারমা বলেন, 'সংসদে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার দাবি উপেক্ষার পটভূমিতে পাহাড়ে আমাদের সশস্ত্র সংগ্রাম চালাতে হয়েছিল। অবশেষে সরকার ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করলে সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘটে। কিন্তু সরকার নানা রকম ষড়যন্ত্র, টালবাহানায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না করে কালক্ষেপণ করে চলেছে।' তিনি আরো বলেন, এ দেশে এত বছর হলো সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, গণতান্ত্রিক ও অসামপ্রদায়িক চেতনার সরকার গঠিত হয়নি। তাই এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আদিবাসীদের ওপর সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে।

আদিবাসীদের উদ্দেশে সন্তু লারমা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না, এ দেশের শাসক-শোষকগোষ্ঠী এমনি এমনি আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। তাই দাবি আদায়ে আগামীতে আপনাদের আরো সংগ্রাম চালাতে হবে। এ দেশের শাসকগোষ্ঠীর যে চরিত্র, তার বিরুদ্ধে আপনারা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকবেন।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি, একটি গণতান্ত্রিক দাবি। সরকারের উচিত হবে এই গণতান্ত্রিক দাবি মেনে নেওয়া।' তিনি ঘোষিত শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় আদিবাসীদের নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, '১৯৭২ সালে সংবিধান রচনার সময় এ দেশের আদিবাসী জনজাতিগুলোর কথা সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে মহা ভুল করা হয়েছিল। আদালতের রায়ের পর বর্তমান সরকার সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন সুযোগ এসেছে এই ভুল সংশোধনের।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, আদিবাসীদের কোন অভিধায় ডাকা হবে, তা এ দেশের আদিবাসীরাই নির্ধারণ করবে। সরকারের উচিত হবে না 'উপজাতি', 'ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী' বা অন্য কোনো অভিধায় তাদের চিহ্নিত করা। নইলে শাসকগোষ্ঠী ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের গৌতম কুমার চাকমা, আদিবাসী ফোরামের শক্তিপদ ত্রিপুরা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের রবীন্দ্রনাথ সরেন, সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির আনিসুর রহমান মলি্লক, গণফোরামের পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাসদের শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, অধ্যাপক এইচ কে এস আরেফিন, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, লেখিকা মাসুদা ভাট্টি, কর্মজীবী নারীর শিরীন আখতার, অ্যাকশন এইডের ফারাহ কবির প্রমুখ।

----------------------------

জালিয়া পাড়ায় সেটলার কর্তৃক হামলার শিকার মিপ্রু মারমা এখনো সুস্থ হয়ে উঠেনি


জালিয়া পাড়ায় সেটলার কর্তৃক হামলার শিকার মিপ্রু মারমা এখনো সুস্থ হয়ে উঠেনি

 লেখক তালুক চাকমা

গত ১৭ এপ্রিল ২০১১ রামগড়-মানিকছড়িতে পাহাড়িদের উপর সেটলার হামলার সময় জালিয়া পাড়ায় সেটলারদের হামলার শিকার মিপ্রু মারমা এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেনি৷ তার মাথার ক্ষতটি এখনো শুকায়নি। ক্ষত শুকানোর জন্য নিয়মিত ড্রেসিং করিয়ে দিতে হচ্ছে। খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষকের বাড়িতে তাকে প্রয়োজনী চিকিত্‍সা সেবা দেয়া হচ্ছে।

মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাড়পত্রে তার নাম লেখা রয়েছে মিতু মারমা। তবে তার আসল নাম হচ্ছে মিপ্রু মারমা (১৩), পিতা মৃত. মেলাপ্রু মারমা, মাতা আম্রা মারমা। পিতা মেলাপ্রু মারমা ৩ বছর আগে রোগে ভুগে মারা যান। তাদের গ্রাম ছিলো মানিকছড়ির মাহ্গ্রা নামক এক গ্রামে। পিতা মারা গেলে তার মা তার ভাইদের বাড়ি গুইমারার বড়তলী এলাকায় এসে বসবাস করছেন৷ মিপ্রুরা চার ভাই বোন৷ সে সবার বড়। বাড়িতে কষ্টে সংসার চলে৷ তাই মিপ্রুর মা মিপ্রুকে খাগড়াছড়ির এক স্কুল শিকের ঘরে রেখেছেন৷ বৈসাবি উত্‍সব শুরু হলে মিপ্রু মারমা নিজ গ্রাম গুইমারায় চলে যায় ১৩ এপ্রিল৷ এরপর সে মানিকছড়ি মহামুনি মেলায় তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে যায়৷ সে বাড়িতে নেই জেনে তার মামা প্রুশি মারমা ও মামী রিএমা মারমা তাদের ৬ মাসের সন্তান ঞিওমা মারমাকে নিয়ে তার খোঁজে মানিকছড়িতে যায় এবং তাকে খুঁজে পাবার পর গাড়িতে করে বাড়িতে আসার সময় রামগড়ের জালিয়াপাড়ায় তারা সেটলারদের হামলার শিকার হয়।

সেটলাররা তাদের উপর হামলা চালালে তারা দিগ্বিদিক শুন্য হয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মিপ্রু মারমা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রুশি মারমা নিজের প্রাণ বাঁচাতে এমনভাবে দৌড় দেন যে তিনি এখনো তার পায়ের ব্যথার কারণে হাটতে পারেন না৷ রিএমা মারমা পালানোর সময় এক বাঙালি গৃহবধু তাকে ঘরে আশ্রয় দেন৷ পরে বুদ্ধি করে তাকে বোরখা পরিয়ে তিনি রিএমা মারমাকে পাহাড়ি গ্রামে পর্যন্ত পৌছানোর ব্যবস্থা করেন।

মিপ্রু মারমাকে ঘটনা বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে কিছু্ই মনে করতে পারছেনা বলে জানায়। তাকে তার রক্তাক্ত হবার ছবি দেখালে সে নিজেকে শনাক্ত করতে পারে। তার মামা প্রুশি মারমা জানান সেটলারদের হামলার সময় মিপ্রুর হাতে বিনি চালের একটি থলে ছিলো।

মিপ্রু মারমার বর্তমান তত্ত্ববধানকারী শিক্ষক জানান যে, মিপ্রুর বিষয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাকে জানান। তার কাছ থেকে তিন জানতে পারেন যে মিপ্রু মানিকছড়ি হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পরিচয়দানকারী ব্যক্তি তাকে জানায় যে, 'মিপ্রুকে এক বাঙালি রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ফোনে ঐ বাঙালির সাথে যোগাযোগ করে সে একটি গাড়ি ভাড়া করে লুকিয়ে ঘুর পথে মেয়েটিকে তার হাতে গছিয়ে দেয়। এরপর উক্ত ব্যক্তি অন্যের সহায়তায় মিপ্রু মারমাকে ১৭ এপ্রিল রাতে মানিকছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে মিপ্রু মারমা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত অজ্ঞান ছিলো ৷ উক্ত ব্যক্তি মারফতে মিপ্রুর মামা সম্পর্কীয় এক আত্মীয় তার খোঁজ নিতে গেলে দোতলায় ওঠার সময় সেটলাররা তার উপর আক্রমণ করে। তার গায়ে দুএক ঘা পড়ার পর তিনি পালিয়ে এক কোণায় আশ্রয় নিয়ে সারারাত সেখানে থাকার পর সকালে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে চলে আসেন।

মিপ্রুর খবর পাবার পর তার তত্ত্বাবধানকারী স্কুল শিক্ষক হাসপাতালে ফোন করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ১৯ এপ্রিল ২০১১ দুপুরে খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় রামগড়-মাটিরাংগা-মানিকছড়ি সড়কে পাহাড়িদের যাতায়াতে নিরাপত্তা না থাকায় তিনি নিজে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতে পারেন নি। বর্তমানে তার বাড়িতে রেখে চিকিত্‍সা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

মাথায় আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে মিপ্রু মারমা এখন শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। ডাক্তাররা তাকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, নিয়মিত ঔষধ সেবন ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো: এন ইলমাম মিপ্রু মারমাকে চিকিৎসা করেন এবং হাসপাতাল ত্যাগকালে ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করেন।


-----------------

courtesy: http://prothom-aloblog.com/posts/10/125468

Santu for movement to win recognition

Santu for movement to win recognition

Staff Correspondent 

Ethnic minority communities from across the country took to the streets in the capital on Friday demanding that they should be recognised in the constitution as ‘indigenous peoples’, not as ‘small ethnic groups’ as proposed by the parliamentary special committee on constitution amendment.
Bangladesh Adivasi Forum organised the rally at the Central Shaheed Minar.

The protesters marched through the streets condemning the government’s move to identify them as ‘small ethnic groups’ which they considered derogatory for them.

The forum president Jyotirindra Bodhipriya Larma, better known as Santu Larma, said the incumbent government’s reluctance to recognise ethnic minority communities as ‘indigenous or adivasi people’ in the constitution was a part of a ‘conspiracy’ against the marginal communities.  

Santu Larma, also president of Parbatya Chattagram Jana Sanghati Samiti and the Chittagong Hill Tracts Regional Council, also said there was no alternative to movement for adivasi communities to realise their rights.

‘The ruling class will not recognise us as indigenous people without a movement,’ he told the rally and urged them to prepare for the movement which, he said, would be launched anytime.

Politicians, activists, academics and journalists also expressed solidarity with the cause of the ethnic minority communities saying that the government would repeat the mistake of 1972 when the constitution was framed if they were not recognised as indigenous people.

The speakers also demanded constitutional recognition of the customary laws of the hill people and their rights to land and natural resources. They called for reconstitution of the CHT Land Commission and a separate land commission for ethnic communities living in the plains.

Former adviser to caretaker government and International Chittagong Hill Tracts Commission co-chair Sultana Kamal, Communist Party general secretary Mujahidul Islam Selim,  Workers Party general secretary Anisur Rahman, Gana Forum presidium member Pankaj Bhattacharya, Bangladesher Samajtantrik Dal leader Shuvrangshu Chakrabarty, Bangladesh Hindu-Bouddha-Christian Oikya Parishad general secretary Rana Dasgupta, columnist Syed Abul Maksud, Dhaka University vice-chancellor AAMS Arefin Siddique and teacher Mesbah Kamal spoke at the rally.
Sultana Kamal said, ‘We cannot uphold the spirit of independence if we do not recognise the indigenous people.’

Syed Abul Maksud said it would be suicidal for the government if it did not give the recognition. ‘The mistake done 40 years ago will be repeated.’ 
   
Mujahidul Islam Selim and Anisur Rahman said that progressive, democratic and anti- communal forces would continue to extend their support to the communities struggling for their rights.
Awami League lawmaker and co-chair of the parliamentary special committee on constitutional amendment Suranjit Sengupta on March 15 told media that the committee would identify them as small ethnic groups, not as adivasis or indigenous people. 

The ethnic communities are also demanding recognition of the nationalities, languages and culture of at least 46 communities of the hills and plains.


---------------------------------------------

courtesy: New Age BD

আদিবাসীদের ফের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে: সন্তু লারমা


আদিবাসীদের ফের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে: সন্তু লারমা

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৯-০৪-২০১১


সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও অধিকার আদায়ের জন্য আদিবাসীদের আবারও আন্দোলন-সংগ্রাম করার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। তিনি বলেছেন, আজও আদিবাসীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। তারা বাংলাদেশের সংবিধানে আজও স্বীকৃতি পায়নি।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আজ গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি’র দাবিতে গণসমাবেশে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন তিনি। সমাবেশ শেষে একই দাবিতে সহস্রাধিক আদিবাসীর অংশগ্রহণে মিছিল শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর, টিএসসি ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
গণসমাবেশে সন্তু লারমা বলেন, বর্তমানে সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সরকার আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে হবে।
সন্তু লারমা আরও বলেন, ৪০ বছর আগে যখন সংবিধান প্রণীত হচ্ছিল, তখনো শাসকগোষ্ঠী আদিবাসীদের বঞ্চিত করেছিল। বর্তমানেও বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এ জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকার আদায় করতে হবে। এই আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য আদিবাসীদের প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘এত দিন আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে চিনে এসেছি। এখন হঠাত্ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে আদিবাসী হিসেবেই দেওয়া উচিত।’
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এই স্বীকৃতির দাবির সঙ্গে সংহতি জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ সরেন, আদিবাসী ফোরামের শক্তিপদ ত্রিপুরা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অন্যপক্ষ-এর সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর এবং কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক শিরীন আক্তার প্রমুখ।  

-------------

courtesy: prothom-alo

আদিবাসীদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বানানোর সরকারী প্রচেষ্টা অযৌক্তিক

আদিবাসীদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বানানোর সরকারী প্রচেষ্টা অযৌক্তিক

April 30, 2011

বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসীদেরকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী-হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার সরকারী প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বর্তমান সময়ে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আদিবাসীদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, কিন্তু সরকার সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ না করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের সাথে প্রতারনা করছে। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবীতে বিশাল গণসমাবেশে বক্তারা এ অভিযোগ করেন। 
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি শ্রী জ্যোতিরিন্দ্রি বোধিপ্রিয় লারমা সন্তু লারমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন ছিদ্দিক, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সুলতানা কামাল, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ আদিবাসী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ কামাল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ সরেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সদস্য নেরলা তংসং, একশন-এইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর, অক্সফাম-জিবি-এ প্রোগাম ম্যানেজার এম বি আক্তার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডা. শামীম ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এইচ কে এস আরেফিন, অন্য পক্ষ এর সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রোজালিন কষ্টা, বাগেরহাট আদিবাসী প্রতিনিধি সুশীল বাগদী প্রমুখ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এবং পরিচালনা করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপার্সন দীপায়ন খীসা

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, দেশের অনেক আইনে, সরকারী পরিপত্র ও দলিলে এবং আদালতের রায়ে এ দেশের বিভিন্ন  জাতিসমূহকে আদিবাসী বা তার সমার্থক গোষ্ঠী হিসেবে উলেখ করা হয়েছে যেমন- পূর্ববঙ্গ রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ আইনে aboriginal castes and tribes শব্দ ব্যবহৃত হয় ১৯৯৫ সালের অর্থ আইন indigenous hillmen বা আদিবাসী গিরিবাসী শব্দ ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের আয়কর প্রদান থেকে অব্যহতি দেয়ার বিশেষ প্রবিধান রেখেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন, ১৯০০ (১৯০০ সালের ১নং রেগুলেশন) আইনে indigenous tribes এবং indigenous hillman শব্দ ব্যবহৃত হয় শুধু তাই নয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ২০০০ ও ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত সংহতি সংকলনে প্রদত্ত বাণীতে এসব জাতিসমূহকে আদিবাসী হিসেবে উলেখ করেছিলেন এছাড়া মহাজোটের ২৩ দফা দাবীনামা, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ও ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচীতে সুস্পষ্টভাবে আদিবাসী শব্দটি উলেখ রয়েছে

বক্তারা আরো বলেন, আদিবাসী শব্দের অর্থ নিয়ে অন্যরকম ব্যাখ্যা করা হচ্ছে আদিবাসী অর্থ তো কে কোথায় প্রথম আবির্ভূত হলো বা বসতি গড়ে তুললো তা একমাত্র বিষয় নয় আদিবাসী বলা হলে অন্যরা অ-আদিবাসী বা বহিরাগত হয়ে যাবে, এমন কোন বিষয় নয় আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের সময় থেকে ঐতিহাসিক কারণে এই আদিবাসীরা বঞ্চিত ও  শোষিত আমাদের দেশেও আদিবাসী মানেই নিজবাসভূমে পরবাসী একশ্রেণীর অসহায় মানুষ যাদের জায়গা-জমি, পাহাড়-বন, আবাসস্থল শক্তির জোরে কেড়ে নেওয়া হয়েছে যাদের একসময় ভাষা ও সংস্কৃতি ছিল, এখন বিপন্ন প্রসঙ্গত ইহা প্রণিধানযোগ্য যে, জাতিসংঘ আদিবাসী বা ইনডিজিনাস পিপলস্ শব্দের কোনো সংজ্ঞা দেয়নি, কারণ আদিবাসীরা আন্তর্জাতিকভাবে এটি চায়নি এর মূল কারণ হলো, আদিবাসীদের আত্ম-পরিচয়ের অধিকার নিজেদের পরিচয় নিজেরাই নির্ধারণ করবে এটাই ছিল আন্তর্জাতিক  ক্ষেত্রে মূলনীতি তাই আদিবাসী জাতিসমূহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে নয়, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি চায়

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি শ্রী জ্যোতিরিন্দ্রি বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, বাংলাদেশের জন্ম লাভের পর যখন প্রথম সংবিধান লিখিত হয় তখন আদিবাসীদের নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা সেই সংবিধানে আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার স্বীকৃতি দানের দাবি জানিয়ে ছিলেন কিন্তু তার সেই দাবি পূরণ করা হয়নি যদি পূরণ করা হত তাহলে আজ আদিবাসীদেরকে এই দাবি জানাতে হত না

তিনি আরো বলেন, আজও আদিবাসীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার তারা এদেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মত বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে কারণ তারা বাংলাদেশের সংবিধানে আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি পায়নি তিনি বলেন, বর্তমানে সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে, কিন্তু সরকার আদিবাসীদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আদিবাসীদের উপর জোর করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিচিতি চাপিয়ে দেয়া আদিবাসীদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন তিনি সরকারকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আদিবাসীদেরকে আদিবাসী হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে হবে
এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, এতদিন আমরা সকলে আদিবাসীদেরকে আদিবাসী হিসেবেই চিনে এসেছি কিন্তু এখন হঠা করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয় সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে আদিবাসী হিসেবেই দেওয় উচিত আদিবাসীরা নিজেদের পরিচয় নিজেরাই নির্ধারণ করবে কিন্তু সরকার যদি তাদের পরিচয় চাপিয়ে দেয় তা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এ দেশের বাঙালিদের যদি অধিকার থাকে তাহলে আদিবাসীদেরও অধিকার রয়েছে এটা শুধু বাঙালির রাষ্ট্র নয়, আরো অনেক জাতির রাষ্ট্র আদিবাসী বলতে কি বোঝায় আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলতে কি বোঝায় তা আমাদের জানা আছে অন্য জাতিগোষ্ঠীকে দলন-পীড়নের জন্য আমরা এমন দেশ চাইনি তিনি আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবী জানান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন ছিদ্দিক বলেন, এটা গণতান্ত্রিক সরকার এ সরকার আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তিনি আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয় তিনি শিক্ষার উপর জোর দিতে আদিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষানীতিতে আদিবাসীদের মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রচলনের বিধান রয়েছে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার বাইরেও মেধা ভিত্তিতে আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন বলে জানান

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, পার্বত্য এলাকার মত সমতলের আদিবাসীদের জন্যও ভূমি কমিশন করতে হবে আদিবাসীদের আন্দোলন সকলের আন্দোলন, এটা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যারা এই আন্দোলন সংগ্রাম মানেনা তারা স্বৈরাচারী আদিবাসীদের পরিচয় অন্য কাউকে ঠিক করে দিতে হবে কেন? যদি আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়া না হয়, তাহলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হবে না
 
মঙ্গলকুমার চাকমা বলেন, কোন জাতির পরিচয় অন্য কোন জাতি দিতে পারেনযদি সেটা করা হয় তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় দীর্ঘ ৪০ বছর পর আজ দিবাসীদের সুযোগ এসেছে জাতিগত পরিচিতির স্বীকৃতির পাশাপাশি আদিবাসীদের মৌলিক মানবাধিকার অধিকার, সংস্কৃতি, বিশেষ বা স্বশাসন, অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব, বন-ভূমি-প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে

এড.রানা দাসগুপ্ত বলেন, শুধু পাহাড়ের আদিবাসী নয়, সমতলের আদিবাসীরাও ৬০ বছর ধরে ভূমি সমস্যার সাথে, তাদের ভূমি বেদখলের সাথে বসবাস করছে এসব সমস্যার সমাধান হতে হবে এবং যথাযথ অধিকার প্রতিষ্ঠা পেতে হবে

রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, বাংলাদেশের আদিবাসীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এটা আদিবাসীদের কাম্য নয় সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য আমরা আবেদন জানাচ্ছি গণ আন্দোলন কখনোই বৃথা যায়না যারা লাঞ্ছিত হচ্ছে, তারা এখন লড়াই করছে এ লড়াই কোনদিন বৃথা যাবেনা

শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, দেশের সকল আদিবাসীর সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছি আমাদের দল থেকেপাহাড় ও সমতলের আদিবাসীরা ৭১-এ বাঙ্গালীর সাথে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিন্তু তারা সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়নি বর্তমানে তাদেরকে সেই স্বীকৃতি দিতে হবে

শক্তিপদ ত্রিপুরা বলেন, দেশের বিভিন আইনে আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সাংবিধানিকভাবে এখনো সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি সরকারের বিশেষ একটি মহল আদিবাসীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে যদি আদিবাসীদের দাবি মানা না হয় তাহলে দেশের আদিবাসী জনগণ জ্বলে উঠবেন

সঞ্জীব দ্রং তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আদিবাসীদের জাতিগত পরিচিতি কি হবে এটা তাদের মানবাধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে আদিবাসীদের রয়েছে আত্মপরিচয়ের অধিকার তিনি আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবী জানান তিনি আশা করেন যে, সরকার দেশের ৪৬টির অধিক আদিবাসী জাতিসমূহের প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের হৃদস্পন্দন অনুভব করবে

সমাবেশ শেষে সমাবেশে আগত আদিবাসীরা একটি বিশাল মিছিল বের করে মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর ও টিএসসি হয়ে আবার শহীদ মিনারে  ফিরে আসে সমাবেশে ৪ সহস্রাধিক আদিবাসী অংশগ্রহণ করে সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠন, আদিবাসী সংগঠন, ছাত্র-যুব সংগঠন তাদের স্ব স্ব ব্যানার ও ফেষ্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন

.....................................................................
Courtesy: adivasinews.com

Friday, April 29, 2011

Plot to capture land in Mahalchari!

April 29, 2011

THE army is alleged to be plotting to capture approximately 25 acres of land belonging to Jumma people in Noapara under Tholipara Mouza in Mahalchari.

Sources said repeated visits to the area by a group of army personnel from Mahalchari zone on Thursday and Friday raised concerns among the Jumma villagers that the army might be eying to grab their lands.

The army was accompanied by a group of settlers during the visits, the sources added.

“We fear that the settlers may come to capture our land anytime.” a villager told chtnews.com on condition of anonymity.

“The army came yesterday along with some Bengali settlers and had had a look at the area.” he said and added, “Today they came twice – at 9am and at 3pm”.

According to him, some 21 Jumma (Marma) families live near the land the settlers are allegedly eying to capture.

These families have been using that land for growing vegetables and for other purposes for the last six decades.

However, in 1985 and 1986, the government made attempts to settle some Bengali settler families on that piece of land. But as the Jummas intensified their protest the attempt ultimately failed.

Since then, the settlers have been claiming the land to be their own, Kala Chand Chowdhury, headman of Tholipara, said.

The Jumma villagers fear that if the settlers make renewed attempts now to capture the land, they would have no other alternatives than to fight back.

“We are driven to the wall; so it is a do or die battle for us.” a Jumma villager said.


------------------
source: chtnews.com

Al Jazeera-The Stream: land struggle for Bangladesh's indigenous

Al Jazeera-The Stream: land struggle for Bangladesh's indigenous

April 29, 2011




Recorded Aljazeera's live stream on Indigenous Jumma People of Chittagong Hill Tracts, Bangladesh.

This Bangladesh part has been trimmed from the original live recorded video of Aljazeera Stream, which is given below.





.....................................................
Courtesy: The Stream

BANGLADESH: Chittagong Hill Tracts Human rights violations continue, says UN

BANGLADESH: Chittagong rights violations continue, says UN


April 29, 2011

DHAKA, 28 April 2011 (IRIN) - The Chittagong Hill Tracts Peace Accord has yet to be fully implemented, with human rights violations continuing more than a decade after it was signed in December 1997 says the UN.

The accord ended a 25-year low-intensity guerrilla war between 11 indigenous groups (Jumma) and the government and was intended to establish self-governance in this southeastern part of Bangladesh, home to half a million people.

However, a recent study by UN Rapporteur Lars-Anders Baer found an extensive military presence and ongoing land disputes in the Chittagong Hill Tracts (CHT) in 2010.

"When the idea of the study was presented to the UN's Economic and Social Council, the Bangladesh delegation... argued that there were no 'indigenous' people in Bangladesh. This was a surprise," he told IRIN.

Raja Devavish Roy, king of the Chakma Circle, the largest ethnic group in the Jumma, who was also appointed to the UN Permanent Forum on Indigenous Issues, says a widespread lack of knowledge about the area's long history of autonomy has resulted in discrimination against its inhabitants.

"In the Chittagong Hill Tracts, all Millennium Development Goals... are well below the national average," Devavish said.

The study states that "gross human rights violations" continue, including "arbitrary arrests, torture, extra-judicial killings, harassment of rights activists and sexual harassment".

It recommends that the government formally endorse the UN Declaration on the Rights of Indigenous Peoples and that the Human Rights Commission of Bangladesh investigate alleged human rights violations.

Displaced

During the insurgency, about 70,000 indigenous people fled Bangladesh and more than 100,000 were internally displaced. The study found that most international refugees had been repatriated and rehabilitated; however, "no practical steps have been taken to rehabilitate the internally displaced persons".

But State Minister Jatindra Lal Tripura MP, chairman of the Taskforce for Repatriation of Tribal Refugees and the Rehabilitation of Internally Displaced People, insisted: "The current situation is better than the past. At present, there is harmony and peace [in CHT]."

De-militarization

According to the report, a third of Bangladesh's army is deployed in the CHT, an area that comprises just a tenth of the country's territory.



Photo: Courtesy of Christian Erni/IWGIA
Over the last 60 years, the Jumma have been driven from their land
"This is an excessive amount, by any standards, especially in a country not participating in a war," the study says.

The report cites the military presence as the main reason for human rights violations against the local population and says the withdrawal of temporary military camps is "crucial for re-establishing normalcy".

But how the military factor into establishing and maintaining peace in CHT remains unclear, Baer said. "The government has been open, but a big problem has been gathering relevant information about... the military presence in CHT. The 'black hole', so to speak, in my work, is the role of the military establishment in the CHT peace process," Baer said.

Land rights

According to the study, disputed land rights remain the most important issue, with forced evictions and expropriation of ancestral lands continuing at an "alarming rate".

The Bangladesh government has long seen the CHT as empty land on to which it can move poor Bengali settlers, with scant regard for the area's Jumma inhabitants, activists insist.

"The government set up the land commission [to settle land disputes] without due consideration of the opinions of the indigenous community. Therefore, indigenous people feel an unwillingness to cooperate with it," said National Human Rights Commission chairperson Mizanur Rahman.

The study recommends that the government create a timeline for implementing all remaining provisions of the accord, warning that failure to do so could lead to "renewed political instability and ethnic conflict in the region".

On 21 April, Survival International - an organization working for the rights of tribal people worldwide - reported that six indigenous Jumma villages were razed to the ground and many Jumma were attacked by Bengali settlers in the CHT.

Violence erupted when Jumma landowners discovered settlers clearing their land and building shelters. A fight ensued that resulted in the death of three settlers. Following this incident, settlers, with the support of the army, burned down more than 90 Jumma houses and at least 20 Jummas were injured, the UK-based group reported.

.............................................................................................
Courtesy: IRIN Asia

Thursday, April 28, 2011

THE Khagrachari Relief Collection and Distribution Committee distributes relief in Ramgarh

THE Khagrachari Relief Collection and Distribution Committee distributes relief in Ramgarh

April 28, 2011

THE Khagrachari Relief Collection and Distribution Committee distributed relief among the affected people in Ramgarh and Manikchari, after the Deputy Commissioner of Khagracahri gave it permission to go ahead.

Initially, the DC had refused to give it permission to distribute relief in the affected areas and its convoy of jeeps carrying relief materials was stopped on 20 April.

A team of the Committee, led by Binod Bihari Chakma, handed over the relief materials to the victims yesterday, Wednesday.

The relief included husked rice, clothes, household utensils and other daily necessities, and was divided into three parts for victims in three different villages, including the surviving members of the three settlers killed on 17 April.

The relief was received by Gano Pal Chakma in Uttor Shonkhola Para and Udrasayen Marma in Manikchari.

The team also distributed husked rice, clothes and utensils to the surviving members of the three Bengali families at Baro Pilak.

The Relief Committee set out a 9am from Swanirbhor in Khagrachari town. However, despite obtaining permission, the police stopped them at Zero Mile and Jaliapara for one and a half hours and searched the relief materials.

Milon Dewan Monang, Councilor of Khagrachari Municipality, expressed dissatisfaction over the behaviour of the police, terming it unnecessary harassment.


--------------


source: chtnews.com

Schedule of the public gathering for demanding constitutional recognition of indigenous people

Please participate with all your friends and family members to strengthen our struggle!!!!!!!!!!




Dear Madam/Sir,
Greetings from Bangladesh Adivasi Forum!
Public Gathering
29 April 2011 at 10.00 am at Central Shaheed Minar in Dhaka
Programme Schedule:
10.00 am - 12.00 am: Public Gathering
Presided by: Jyotirindra Bodhipriya Larma, President, Bangladesh Adivasi Forum
Solidarity Speech by:
1)      A F M Arefin Siddiq, Vice Chancellor, Dhaka University
2)      Mujahidul Islam Selim, General Secretary, Communist Party of Bangladesh
3)      Advocate Sultana Kamal, Executive Director, Ain O Salish Kendra
4)      Fazle Hossain Badsha, MP & Politburo Member, Workers’ Party of Bangladesh
5)      Pankaj Bhattachariya, Presidium Member, Gono Forum
6)      Abul Maqsud, eminent columnist
7)      Shirin Akhter, Coordinator, Karmojibi Nari and Central JASAD
8)      Z I Khan Panna, Lawyer, Supreme Court
9)      Rana Dasgupta, General Secretary, Bangladesh Hindu-Bouddha-Christian Oikya Parishad
10)  Rajekuzzaman Ratan, Central Member, BASAD
11)  Mesbah Kamal, General Secretary, Bangladesh Adivasi Odhikar Andolon
12)  Rabindranath Soren, General Secretary, Jatiya Adivasi Parishad
13)  Nerola Tongsong, Member, Bangladesh Adivasi Forum
14)  Farah Kabir, Country Director, Action Aid
15)  Dr. Shamim Imam, Monusher Jonno Foundation
16)  Prof H K S Arefin, Dhaka University
17)  Shamsul Huda, Executive Director, ALRD
18)  Mangal Kumar Chakma, Publicity & Information Secretary, PCJSS
19)  Rekha Chowdhury, Andolon Secretary, Bangladesh Mahila Parishad
20)  Shakti Pada Tripura, Ornaising Secretary, Bangladesh Adivasi Forum
21)  Masuda Bhatti, eminent columnist
and other eminent citizens and intellectuals.
Welcome Speech by: Sanjeeb Drong, General Secretary, Bangladesh Adivasi Forum
12.30 noon – 01.00 pm: Procession (Shaheed Minar-Doyel Sattar-Shaheed Minar)
You are cordially invited to this public gathering.
Your participation in this public gathering will strengthen the movement of indigenous peoples for constitution recognition.

Sincerely Yours
Shakti Pada Tripura
Organising Secretary
Bangladesh Adivasi Forum



--
Kapaeeng Foundation
(A Human Rights Organization for Indigenous Peoples of Bangladesh)
Shalma Garden, House # 23/25, Road # 4, Block # B, PC Culture Housing, Mohammadpur, Dhaka-1207, Telephone: +880-2-8190801



Click the following link for the Program Invitation letter:



 

Wednesday, April 27, 2011

DC backtracks on independent relief activities for Ramgarh victims

DC backtracks on independent relief activities for Ramgarh victims



April 27, 2011

THE Deputy Commissioner of Khagrachari, Anis-ul-haq Buian, has finally backtracked on the issue of restrictions on independent relief activities for Ramgarh attack victims, after the leaders of different socio-cultural and religious organizations in a statement threatened to launch a movement against that restrictions.


In a letter written to Binod Bihari Chakma, convener of Relief Collection and Distribution Committee, yesterday, 26 April, the DC gave him permission to distribute relief materials among the victims in Ramgarh and Manikchari.




However, the DC attached five conditions to the permission. The conditions are: 1. the relief materials should be distributed with the help and in the presence of the administration, 2. relief materials should be distributed equally among the victims of both the Jumma and Bengali communities, 3. no gathering of too many people during relief distribution, 4. presence of the members of the local police station and the relief distribution committee must be ensured.

The memo No. of the letter is 300.012.006.00.02.005.2011-372

-----------
source: chtnews.com

No god, no refuge, no New Year for the indigenous of Bangladesh- Wasfia Nazreen

Wasfia Nazreen

No god, no refuge, no New Year for the indigenous of Bangladesh

April 26, 2011
Buddha Statues burnt down to ashes in Guimarah of Ramgarh Upazilla under Khagrachari district, Chittagong Hill Tracts.
Buddha Statues burnt down to ashes in Guimarah of Ramgarh Upazilla under Khagrachari district, Chittagong Hill Tracts.



Water drenched, tropical sweat-soaked while celebrating Songkrant festival just north of Chiang Mai, Thailand, my phone started getting clogged with alarming news coming from the Chittagong Hill Tracts.

Another arson attack, another settler versus indigenous clash and henceforth more deaths, another authority-backed violent incident in our country, another media outcry that doesn’t tell all the stories.
The tension first escalated in Khagrachari district on 14 April between a group of Bangali settlers occupying and trying to plant crops on areas within the Marma Jumma’s ancestral lands. Some termed it ‘disputed’ land, in the case of which, both Marmas and Bangalis are to resist from plantation and Bangalis went ahead and broke the order. They set out large arson attacks and cleared forests, while crops and rations burnt. In retaliation, the Jummas sought help from the authorities, in vain. Communal attacks like this are nothing new in southeastern Bangladesh, and the fact that the Marma people, along with the greater indigenous community, could not even properly conclude their Sanghraing festival is no surprise either.

The traditional Shongkranti festival usually consists of three days. For the Chakma and Tanchangya, the 1st day is the day for Phul (flower) Bizu; the 2nd one is for the Mul (main) Bizu and the last day for the Gojyapojya (literally ‘rolling on the ground’ in fun and frolic) Bizu. Different communities celebrate the same fest at the same time: Chakmas call it Bizu, Tanchangyas call it Bishu, Tripuras call it Boishukh or Boishu, and Marmas call it Sanghraing. Thais call it Songkrant, while the Assamese call it Bihu. All are perhaps rooted in ‘Bishubo Shongkranti’, the constellation centring on ‘Bishubo’, heralding the end of a year and the beginning of another in South and Southeast Asian calendars.
Somewhat like in Thailand, the CHT peoples relate the event to cleansing of Buddha images, bathing of elders, offering of vegetarian food, traditional rice wine and rice beer. The Marmas — like Thais and Burmese — throw water at each other in festive gatherings, usually mocking battles between the two sexes. Buddhist monasteries throng with devotees — presenting robes, flowers and food offerings.


* * *
Meantime, at Jaliapara, Bangali settlers were allegedly stopping every vehicle and looking for indigenous people. First few news reports said, amongst others, that senior government official Jyoti Ranjan Chakma was taken off a bus there and severely beaten up. Reports from Manikchari said that almost all the houses of the indigenous people on both sides of the Chittagong-Khagrachari highway between Manickchari upazilla headquarters and Jaliapara were looted and most of the houses were burnt.

No violence is a strict rule of concern during these festivities and such were the ironic realities! In the spirit of goodwill, peace and respect, the Chakmas and Tanchangyas do not allow even eating meat during their open-house-for-all celebration, so as to symbolise washing away of all defilements. What a tragic twist of fate!

Debates set ablaze on blogs and other internet platforms. Most being sympathetic towards the gruesome chain of massacres on the very day of Bangla New Year — a similar calendar also followed in Myanmar, Thailand and Nepal. Others defended — that only after three Bengali settlers were killed on 17 April, allegedly by Jumma people — settlers looted surrounding indigenous villages and injured people, burning at least 60 homes — so as to justify their crimes.

Indigenous sources say they informed the local authorities, and of course the army, which has a heavy presence in the area of the settlers’ movements, but like all the other times, they failed or refused to act on the information. It was only then that they had to act, in defence of their lives and property, when the authorities had clearly failed or refused to act on their behalf.

All of the above, again — nothing new. A sense of a never-ending déjà vu.



* * *
Photos of Buddhist temples burning and Buddha statues smashed to the ground went around on facebook. Similar photos jammed the cyber in February 2011 in Longadu, in February 2010 in Baghaihat and August 2008 in Sajek. I couldn’t help but picture a parallel scenario. On 14th April, what would have happened if, while we were singing and celebrating Bangla Naba Barsha at Ramna Batamul, and in place of that Temple, a Mosque was burning in Dhaka? What would be the consequences had some indigenous people set fire to our praying space on our new year’s day?

Unidentified Jumma girl injured in the attack - photo taken at Jaliapara by a Marma police on 17 April 2011.
Unidentified Jumma girl injured in the attack - photo taken at Jaliapara by a Marma police on 17 April 2011.



In no form do I support acts of violence, whoever it is aimed against. I was taught as a child that destroying or disrespecting a mosque or any other praying space has unimaginable consequences, whether you believe in God or no God, sins, karma, heaven and hell, or consecutive incarnations! The karma of destroying Buddha statues — not once, twice or thrice, but many a times — shall come back thousand fold. Even though, in this case, karma does not seem to travel that fast — at least not for minorities or the most marginalised — in a Muslim majority country.

In that light, it is crucial to identify that time and again, we, the Bangalis, have been destroying and looting others’ prayer spaces, on top of the hideous genocide committed on our own people. Of course not all Bangalis are necessarily Muslims, and not all Bangalis — Muslim or of other or no spiritual belief or tradition — are necessarily settlers. Amongst settlers, there are the government-sponsored ones, and there are the settlers who are naturally migrated inhabitants of CHT. Not all settlers are the villains. Not all settlers are murderers. Not all settlers take advantage of the security forces’ courtesy of the government.

The sad problem that remains with our Bangali Nationhood is that 40 years down our Independence, we still have not been able to establish an ethnically neutral state. The concept of multicultural pluralism does not exist in our dictionary. Yet when international cricket matches take place, our international airport lobbies proudly boast pictures of colourful indigenous women happily working in the field, with convenient labels by the Bangladesh Tourism Board gallantly proclaiming “Smiling Indigenous Women of Bangladesh’’. Even after our honourable MPs deny issuance of their just recognition they have been screaming out loud for the last four decades, and refuse to call them ‘Adibashi.’


* * *
Survival International reported on 21st April that, “The army and police allegedly refused to allow a relief team, carrying supplies for the Jummas, to visit the affected areas. Mr. Rabi Shankar Talukder who was leading the relief team, said, ‘They want the victims to die without food and shelter’.” On April 23, CHTNews reported that the Deputy Commissioner of Khagrachari, Anisul Haq Bhuian, refused to allow relief materials to be distributed among Ramgarh victims, saying that “No unofficial relief activity can be carried out in the area.” On 21 April, Sukriti Jiban Chakma, a Jumma leader, called on Dipankar Talukder, State Minister of Chittagong Hill Tracts Affairs, while the latter was on a visit to Ramgarh, and raised the issue of relief distribution with him. The Minister told him that there was no restriction on distribution of relief to the victims by non-government organizations and ordered the DC and SP, who were present there, to provide necessary help in this regard. Yet, the DC continued to refuse any relief material distribution made by the Jumma organizations. This is clear violation of basic human rights and humanitarian norms.

If this is not the perfect example of systematic racial cleansing, then what is?



***
We urge our government to speed up its efforts into implementing the 1997 ‘Peace’ Accord that it had signed 14 years ago. No, there is probably no Nobel Peace prize or UNESCO Award guaranteed in exchange of that (PM Sheikh Hasina got a UNESCO Award for signing the 1997 Peace Accord), but maybe it will help gain back some of the respect and trust ordinary citizens had bestowed upon this government whose major component, the Awami League, had promised clearly in its 20-point election manifesto: to fully implement the CHT Peace Accord and to safeguard the rights of Adibashis and minorities groups.

More so, we demand a thorough, independent and impartial investigation done on the recent carnages. Several Jummas still remain missing, some thought to have fled into the jungle and some feared dead. As long as security forces are there in hundreds of temporary camps outside of the specified cantonments – they may continue to serve as nothing but direct ammunitions for intimidation and discrimination and a safe sense of home will elude the CHT. Therefore, the withdrawal of some 400 temporary army camps in the area, which has been allowing the advancement of Bangali settlers onto indigenous land, rather than preventing it, is mandatory.

The more time we allow for these conspiracies to thrive, the more damage we are doing as a State in whole to our combined entity. Violence in one area will almost inherently trigger revenge attacks elsewhere. Let us not, as a Nation, wait for that doomsday.


——————————
Wasfia Nazreen is a development practitioner, a multi-disciplinary researcher and a member of DRISHTIPAT Writers’ Collective.



courtesy: http://opinion.bdnews24.com/2011/04/26/no-god-no-refuge-no-new-year-for-the-indigenous-of-bangladesh/

মি প্রুর খোঁজ মিলেছে, চলছে চিকিৎসা

আহত মি প্রু মারমা। ছবি : সংগৃহীত
 
 
মি প্রুর খোঁজ মিলেছে, চলছে চিকিৎসা বিপ্লব রহমান

খাগড়াছড়ির রামগড়ে সহিংসতার সময় নিখোঁজ আদিবাসী কিশোরী মি প্রু মারমার (১৩) সন্ধান মিলেছে প্রায় এক সপ্তাহ পর। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রুকে মাটিরাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এক স্কুলশিক্ষক গত রবিবার তাকে খুঁজে পান। পিতৃহীন, হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য প্রুর মায়ের নাম আম্রা মারমা (৪৫)। বাড়ি মাটিরাঙা থানার গুইমারার বড়তলীপাড়ায়।
জানা গেছে, রামগড়ে গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন আদিবাসী পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় গুরুতর আহত প্রু মারমার ছবি তোলেন। পরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রক্তাক্ত ও দিশেহারা কিশোরিটির ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেইসবুক গ্রুপ এবং ব্লগে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবিটি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অনেকে তার খোঁজ জানতে চেয়ে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার আগ্রহও প্রকাশ করেন।
সহিংসতার সময় মেয়েটির মা আম্রা মারমাও গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সন্তানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আদিবাসী একজন শিক্ষকের শরণাপন্ন হন। পরে ওই শিক্ষক অনুসন্ধান চালিয়ে গত ২৪ এপ্রিল মাটিরাঙা হাসপাতালে মেয়েটিকে খুঁজে পান। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, তিন দিন অচেতন থাকার পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার শরীর খুব দুর্বল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখন সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে আমার বাসাতেই প্রুর চিকিৎসা চলছে। ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা ওকে আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করলেও ক্ষত শুকাতে আরো সময় লাগবে বলে জানান।'
প্রুর মা আম্রা মারমা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আদিবাসী উৎসব সাংগ্রাইং উপলক্ষে আয়োজিত মেলা দেখার জন্য আমরা কয়েকজন আত্মীয়সহ ১৫ এপ্রিল মানিকছড়ি গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাসে করে গুইমারায় নিজেদের গ্রামে ফেরার পথে জালিয়াপাড়ায় একদল লোক বাস থেকে আমাদের নামিয়ে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। আমি কোনো রকমে দৌড়ে পালাতে পারলেও প্রুকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর জুম্ম (পাহাড়ি) স্কুলশিক্ষক ওকে খুঁজে বের করেন।'
জুমচাষি আম্রা মারমা কান্নাভেজা গলায় বলেন, 'আমি এখন অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যাব কোথায়? খাব কী?'
এদিকে আমাদের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, রামগড়ের পরিস্থিতি ক্রমে শান্ত হয়ে আসছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন ঘর তোলার জন্য ঢেউটিন দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে খাবার ও পোশাক দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন বাঙালি নিহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের অনেক বাড়ি। -------------- courtesy: KalerKantho

Tuesday, April 26, 2011

JPNK holds protests in South Korea against Ramgarh attack

THE Jumma People’s Network – Korea, an organization of the expatriate and exiled Jummas in South Korea, held a press conference in front of Bangladesh embassy in Seoul in protest against the 17 April communal attack on Jumma people in Ramgarh.





The press conference was held at 10am today. Apart from JPNK members, representatives from Socialist Party of Korea, Buddhist Solidarity For Reform, PNAN, a Christian NGO mainly concerned with refugees, and media persons also attended it.

Members of the JPNK and their supporting Korean organizations showed placards and shouted slogans against continuing human rights violations in the Chittagong Hill Tracts.

Ex-president of the Socialist Party of Korea, Mr. Cho Kwang Eun, in his address termed the Ramgarh attack as abhorrent.

When an embassy staff asked the organizers to turn the volume of the speaker low, Mr. Hotaeg Lee, chief of the Refugee PNAN, said “rights of the Jumma people is more important than the noises of the speaker”.

He strongly urged the government of Bangladesh to stop human rights violation in the CHT.

Mr. Sugata Nanda Chakma, Vice President of JPNK, made the opening remarks, while Shanti Jiban Chakma, ex president of JPNK, and Prajna Dwip Chkma, Finance Secretary of JPNK, also addressed the press conference.

JPNK General Secretary Chotto Chakma and its ex General Secretary Ronel Chakma moderated the conference.

At the end of the press conference, which was in all practical purposes a protest demonstration, the JPNK representatives handed a memorandum to the embassy.

In the memo, they urged the government to investigate the Ramgarh incident and bring the culprits to justice, stop attacks on the Jumma people, withdraw the Bangladesh army and the settlers from the CHT, and to grant full autonomy for the CHT.

This report is based on a press release issued by Choto Chakma, General Secretary, Jumma Peoples Network-Korea (JPNK).


-----------


source: chtnews.com