Why we want our voice to be heard?

Pages

Sunday, May 12, 2013

বান্দরবানের লামায় ২৫০ ম্রো পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে

বান্দরবানের লামায় ২৫০ ম্রো পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে


১২-০৫-২০১৩

বান্দরবানের লামা উপজেলার লুলাইন মৌজায় বহিরাগত ভূমি দখলদার ও কাঠ পাচারকারীদের অত্যাচার-নির্যাতনে প্রায় আড়াই শ ম্রো আদিবাসী পরিবার উচ্ছেদ আতঙ্কে আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জুমবন দখল ও ধ্বংস করে হাতি দিয়ে গাছ টানার সময় নিরীহ ম্রোদের হয়রানি, নারীদের ধর্ষণ-শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ম্রোরা সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল বলেছেন, লুলাইন এলাকায় সহজ-সরল ম্রোদের ওপর যা করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত অমানবিক। আজ রোববার অনুষ্ঠেয় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি বিষয়টি আবারও জোরালোভাবে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার লুলাইন বাজারের চৌধুরী সিংপাত ম্রো বলেন, তাঁদের জুমের জমি দখল ও জুমবন ধ্বংস করে হাতি দিয়ে গাছ টেনে সড়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে লুলাইন ও পোপা এলাকায় ২৬টি হাতি দিয়ে গাছ টানা হচ্ছে এবং কুইছড়ায় বাচ্চা হাতিদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। নারীরা বাড়ি থেকে কোথাও বের হলে কাঠ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এ পর্যন্ত জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে সিংপাত ম্রো হতাশা প্রকাশ করেছেন। 
ম্রোরা বলেছেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার নওশেদ আলম, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন বহিরাগত জুমের জমি, গাছের বাগান দখল করছেন। তাঁরা হাতি দিয়ে গাছ টেনে ঝিড়ি (ছোট ছড়া), ঝরণা, খালসহ সব পানির উৎসও ধ্বংস করে দিয়েছে।
নওশাদ আলম ও হেলাল উদ্দিন লুলাইন এলাকায় তাঁদেরসহ আরও অনেকের গাছের ব্যবসা ও জায়গাজমি রয়েছে স্বীকার করলেও ম্রোদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ম্রোদের তাঁরা রক্ষা করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ ম্রোদের উসকে দিয়ে থাকতে পারে। সেখানে হাতি রয়েছে বলে তাঁরা শুনেছেন, কিন্তু কখনো তাঁরা হাতি দিয়ে গাছ টানেননি বলে জানান। 
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহামঞ্চদ ইসমাইল বলেন, বীর বাহাদুর দখলদার ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। লুলাইনে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে কিছু কাঠ আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ফিরে আসার পর পর অত্যাচার আবার শুরু হয়ে যায়।

------------------------------------------------

Courtesy: Daily Prothom Alo

No comments:

Post a Comment