আদিবাসীদের ‘রক্ষাগোলা’ শক্তিশালী করার প্রত্যয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | তারিখ: ০১-০১-২০১১
‘দিনরে মিমুট, হপ্তারে আধা কেজি, বছরে দ’ ছাব্বিশ কেজি, দিবং ডিংগুইয়া রক্ষাগোলা (অর্থাৎ দিনে কয়েক মুষ্ঠি, সপ্তাহে আধা কেজি ও বছরে ২৬ কেজি চাল দিয়ে আমরা গড়ে তুলেছি রক্ষাগোলা।)’ গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভায় দাদৌড় সাঁওতাল গ্রামের রক্ষাগোলা সংগঠনের নেতা সাহেব মুর্মু এভাবেই নিজ ভাষায় তাঁদের সংগঠন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া বর্ণনা করছিলেন।
ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মিছিল নিয়ে ২২টি আদিবাসী গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার নারী-পুরুষ সভায় যোগ দেন। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রক্ষাগোলা আরও শক্তিশালী করতে এবং আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামের প্রত্যয় ঘোষণা করে তাঁরা বাড়ি ফেরেন।
সাহেব মুর্মু জানান, ২২টি গ্রামের রক্ষাগোলায় এখন জমা আছে ১৩০ মণ চাল, ৩৩ মণ গম ও ১১ লাখ ৩৪ হাজার ১২৬ টাকা। এখন এসব গ্রামের কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। টাকার অভাবে শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয় না। এ ছাড়া অন্যান্য বিপদ-আপদে আর আগের মতো ভয় পেতে হয় না। কারণ এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই গড়ে উঠেছে রক্ষাগোলা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আদিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কার্যক্রম গোটা গোদাগাড়ীতে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমি চাই।’ তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের জন্য আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ১৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প পেশ করেছি। এতে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য রক্ষাগোলার ধারণাও দেওয়া হয়েছে।’
আদিবাসী নেতা পরেশ কুজুরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন প্রামাণিক। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এভারিষ্ট হেমব্রম ছাড়াও মুকুল সিকদার, মোলাজ্জেম হোসেন, হাসান মিল্লাত, আনোয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান, সুমিত্রা রাজোয়ার, মোংলা মার্ডি প্রমুখ।
ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মিছিল নিয়ে ২২টি আদিবাসী গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার নারী-পুরুষ সভায় যোগ দেন। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রক্ষাগোলা আরও শক্তিশালী করতে এবং আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামের প্রত্যয় ঘোষণা করে তাঁরা বাড়ি ফেরেন।
সাহেব মুর্মু জানান, ২২টি গ্রামের রক্ষাগোলায় এখন জমা আছে ১৩০ মণ চাল, ৩৩ মণ গম ও ১১ লাখ ৩৪ হাজার ১২৬ টাকা। এখন এসব গ্রামের কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। টাকার অভাবে শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয় না। এ ছাড়া অন্যান্য বিপদ-আপদে আর আগের মতো ভয় পেতে হয় না। কারণ এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই গড়ে উঠেছে রক্ষাগোলা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আদিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কার্যক্রম গোটা গোদাগাড়ীতে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমি চাই।’ তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের জন্য আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ১৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প পেশ করেছি। এতে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য রক্ষাগোলার ধারণাও দেওয়া হয়েছে।’
আদিবাসী নেতা পরেশ কুজুরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন প্রামাণিক। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এভারিষ্ট হেমব্রম ছাড়াও মুকুল সিকদার, মোলাজ্জেম হোসেন, হাসান মিল্লাত, আনোয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান, সুমিত্রা রাজোয়ার, মোংলা মার্ডি প্রমুখ।
------------
courtesy: prothom-alo http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-01-01/news/119836
No comments:
Post a Comment