Why we want our voice to be heard?

Pages

Wednesday, January 26, 2011

খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন-পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবি


খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | তারিখ: ২৫-০১-২০১১


পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১ সংশোধন ও বর্তমান ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে অপসারণের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মাবনবন্ধন করেছেন আদিবাসীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতি, খাগড়াছড়ি জেলা হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশন ও খাগড়াছড়ি জেলা কার্বারি অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গতকাল সোমবার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন শেষে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো: জাতীয় সংসদে আসন্ন অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১ সংশোধন; ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর অপসারণ; পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল-প্রক্রিয়া বন্ধ করা ও ভূমি হুকুমদখল-প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসিত বাঙালিদের নামে বিক্রি দলিল হস্তান্তর ও কবুলিয়তনামা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা।
মানববন্ধনে দিঘীনালা উপজেলার রেংকাজ্যা মৌজার হেডম্যান পূর্ণ কুমার চাকমা (৭২) বলেন, এমনিতেই তাঁরা বাস্তুচ্যুত হয়ে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন। তার ওপর ১৯৯২ সালে বন বিভাগ তাঁদের না জানিয়ে তার আওতাধীন ২৮ নম্বর রেংকাজ্যা মৌজাসহ দিঘীনালা উপজেলার ছয়টি মৌজার প্রায় ১৩ হাজার একর জমি সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো মৌজার ভূমির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগে হেডম্যানের পরামর্শ নিতে হয়।
অথচ বন বিভাগ তাঁদের না জানিয়ে হাজার হাজার একর জমি সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করেছে। কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা রামগড় উপজেলার সোনাই আগা গ্রামের মংসাথোয়াই মারমা (৬৫) জানান, তাঁর ১ দশমিক ২৮ একর ধানের জমি ছিল। ১৯৬৮-৬৯ সালে বন্দোবস্ত পাওয়া সেই জমি এখন মোহাম্মদ ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তি দখল করে আছেন।  





--------------------

courtesy: prothom-alo (25.01.2011)

No comments:

Post a Comment