খাগড়াছড়ির দুর্গম অঞ্চলে ধর্ষণের শিকার আদিবাসী নারী
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
খাগড়াছড়ি: জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম এলাকা তাইন্দং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পোড়াবাড়ী পাড়ায় এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
ধর্ষণের শিকার আদিবাসী নারীর নাম মালারুং ত্রিপুরা (৩২)। এসময় দুর্বৃত্তরা নির্যাতিতার স্বামী নিত্য ত্রিপুরাকে (৩৬) শারীরিক নির্যাতন করেছে। গত ২৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতার স্বামী নিত্য ত্রিপুরা জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসী সুরুষ মিয়া ও বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে ৮-৯ জন দুর্বৃত্ত রাত আনুমানিক ২টায় তাদের ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরে ঢুকেই দুর্বৃত্তরা তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে।
তিনি আরও জানান, সুরুষ মিয়া, বাবুল মিয়াসহ আরো কয়েকজন তার স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর চড়াও হয় এবং স্ত্রী মালারুং ত্রিপুরাকে ঘর থেকে বের করে উঠানের একপাশে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এছাড়াও দুর্বৃত্তরা পাঁচ মন শুকনো হলুদ, নগদ ১৬ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, কাপড় ও একটি ট্রাঙ্ক নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়। ওই ট্রাংকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রাখা ছিল।
মালারুং ত্রিপুরা জানান, তাদের ঘরটি পাড়া থেকে এক মাইলের মতো দূরে হওয়ায় এবং দুর্বৃত্তরা তাদের মুখ চেপে রাখায় কোনো প্রকার চিৎকার করতে পারেননি।
এলাকার লোকজনের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার শুক্রবার সকালে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা করতে যান।
তবে তারা জানান, মামলা করার পর তারা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা এবং ভবিষ্যতে নিরাপদে থাকতে পারবেন কিনা সে আশঙ্কায় আছেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, মামলাটির যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে। তাই মামলার নম্বর এখন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তাছাড়া মালারুং ত্রিপুরার মেডিকেল টেস্টের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১১
--------
source: http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=400438f689c4a4b7003ac38bab4a0eef&nttl=2011012827153&toppos=3
খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হলে পাহাড়ে ও সমতলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ReplyDelete---
দেড় দশক আগেই গণমাধ্যম ধর্ষিতার নাম-পরিচয় ও ছবি প্রকাশ না করার নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু সংবাদটি এই নৈতিকতার ধার-ধারেনি! একই সঙ্গে এই ঘৃণ্য প্রবনতারও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।