Why we want our voice to be heard?

Pages

Wednesday, January 26, 2011

পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে সমাবেশ


পার্বত্য ভূমি কমিশন

চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি ও বান্দরবান প্রতিনিধি | তারিখ: ২৪-০১-২০১১


পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর অপসারণ দাবিতে গতকাল রোববার রাঙামাটিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। একই দাবিতে গতকাল বান্দরবানে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন।
জনসংহতি সমিতির রাঙামাটি জেলা কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় সমিতির নেতা-কর্মীদের মিছিল বের হয়ে শহরের বনরূপা এলাকা ঘুরে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে শেষ হয়। পরে সমিতির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি গুণেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা অভিযোগ করেন, সরকারের উদাসীনতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। পার্বত্য ভূমি কমিশনের সদস্যদের অবজ্ঞা করে নিজের ইচ্ছামাফিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন কমিশনের চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁকে অপসারণ করা না হলে তাঁর কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না এবং ওই কমিশনের সব ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি ঘোষণা দেন। সমাবেশে জাতীয় সংসদের এবারের শীতকালীন অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সমিতির রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি উদয়ন ত্রিপুরা প্রমুখ। পরে এসব দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এদিকে বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি আইন সংশোধন ও কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক নারী-পুরুষ। পরে তাঁরা সেখানে সমাবেশ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতির জেলা সভাপতি সাধুরাম ত্রিপুরা, বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জুয়ামলিয়ান আমলাই, আদিবাসী ফোরামের জেলা সভাপতি মংমং চাক, জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় ভূমিবিষয়ক সম্পাদক চিংহ্লামং চাক, নাগরিক কমিটির দেন্দোহা জলাই ত্রিপুরা, হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি মিঞোচিং মারমা, মহিলা সমিতির সাবেক সভাপতি ওয়াইচিং প্রু মারমা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।  




------------

courtesy: prothom-alo (24.01.2010)

No comments:

Post a Comment