পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি-সমস্যা
আইনমন্ত্রী ও মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের দুই রকম বক্তব্য
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১০-১২-২০১০
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি-সমস্যা সমাধানে গঠিত ভূমি কমিশনের কাজ নিয়ে দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সেমিনারে আইনমন্ত্রী পার্বত্য ভূমি-সমস্যা নিরসনে তেমন কোনো সংকট নেই বলে দাবি করে বলেন, আদিবাসীদের জমির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী আন্তরিক। অচিরেই পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি-সমস্যা কেটে যাবে।
অন্যদিকে, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আমলাদের দায়ী করে বলেন, সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে অনাস্থা রয়েছে। আমলাদের প্ররোচনায় সরকার ভূমি-সমস্যা সমাধানে আন্তরিক নয়। আদিবাসীদের হাতে পার্বত্য ভূমি ছেড়ে দেওয়া হলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে—আমলাদের পক্ষ থেকে সরকারকে এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
আদিবাসী নেটওয়ার্ক ফোরাম আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় নেতাদের আন্তরিক সহায়তা পেলে দ্রুত ভূমি কমিশনের মাধ্যমে ভূমি-সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। আদিবাসীদের শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একেকটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজেদের আলাদা ভাষা রয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় মাতৃভাষা হিসেবে ওইসব ভাষা চর্চার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি সরকার বিবেচনা করে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, আদিবাসীদের ভূমির অধিকার-সংক্রান্ত ‘আইএলও কনভেনশন ১৬৯’-এ বাংলাদেশ এখনো স্বাক্ষর করেনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। পৃথিবীর যেসব দেশে আদিবাসী আছে, তারা আইএলও কনভেনশনে সই করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের আমলারা সরকারকে এ বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে স্বাক্ষর করতে নিরুৎসাহিত করছেন। তিনি দ্রুত আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষর করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি-সমস্যাকে কেন্দ্র করে অন্য অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারসহ আদিবাসীদের অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোতে স্বাক্ষর করার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পাবর্ত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ আহমেদ, এডিবির প্রতিনিধি ইন্দিরা সিমবলন ও রজার প্লান্ট, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান জেমস বারিন্দ্র দ্রং, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ সরেন প্রমুখ।
Chittagong Hill Tracts (CHT) is a military controlled area, where all the news are filtered by the military and the Bangladeshi government.CHT, where blood has shed for decades and hopes were burnt to ashes by the brutes, constitutes of people who want their voice to be heard. We are here to ensure that the voice of these unheard victims in CHT echo around the world despite the Bangladeshi government trying to suppress them in the biased state run media. Our email : chtnewsupdate(at)gmail.com
No comments:
Post a Comment