পার্বত্য চট্টগ্রাম
ভোর চারটা। রুমা বাজার কয়েক শ লোকে ভরে গেছে। সবার চোখে-মুখে দৃঢ়তা। লংমার্চ করে তাঁরা বান্দরবান শহরে যাবেন নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করতে। কারণ, রুমা সেনানিবাস সম্প্রসারণের জন্য সরকারিভাবে নয় হাজার ৬৫০ একর জমি অধিগ্রহণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর ফলে ওই এলাকার তিনটি মৌজার অধিকাংশ স্থায়ী বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে। এই উদ্যোগ থেকে সরকার যাতে বিরত থাকে, সে জন্য তাঁরা আজ এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবেন। ভোররাতে রওনা হয়ে বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে শেষ বিকেলে তাঁরা বান্দরবান শহরে পৌঁছান।
রুমা উপজেলার বটতলী গ্রামের উচিং মং জীবনে কখনো বান্দরবান জেলা শহরে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি; অধিকাংশ সময় তিনি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বিচরণ করে প্রকৃতি থেকে জীবনের আনন্দ-বেদনার স্বাদ নিয়েছেন। বান্দরবানের প্রকৃতি, বগা লেক, চিম্বুক, তাজিনডং তাঁকে মাতৃছায়া দিয়েছে। কিন্তু আজ যখন তাঁর এই স্বাভাবিক যাপনে আগ্রাসনের থাবা পড়েছে, তখন তিনি অস্থিসার শরীর নিয়ে ১২ ঘণ্টা হেঁটে বান্দরবান শহরে এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে।
বান্দরবানের রুমা গ্যারিসনকে সেনানিবাসে উন্নীত করতে ১৯৭৭ সাল থেকে এই সাড়ে নয় হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সে সময় ভূমি মন্ত্রণালয় পরিবেশগত দিকটি বিবেচনা করে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯১ সালে এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়াটি আবারও সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেবারও প্রক্রিয়াটি এগোয়নি। বিগত জরুরি অবস্থার সময় সামরিক বাহিনী এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়া আবারও সামনে তুলে আনে। অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়াটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এক জীবন-মরণ সংগ্রাম। এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে বর্তমানে আরও যুক্ত হয়েছে রুমা বাজারসংলগ্ন পলি মৌজায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য আরও অতিরিক্ত তিন হাজার একর জমি অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়া, যা সরকার এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে।
আমরা জানি, উনিশ শতকের শেষভাগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সার্কেল আবার কয়েকটি মৌজায় বিভক্ত। এসব মৌজার প্রধান হেডম্যানরাই ঐতিহ্যগতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন। কিন্তু সেনানিবাস সম্প্রসারণের নামে যে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে হেডম্যানদের মতামত নেওয়া তো হয়নি। হেডম্যানেরাও আজ ভূমি আগ্রাসনের শিকার। অথচ পার্বত্য চুক্তিতে বলা আছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণ, ক্রয়-বিক্রয়ে মৌজাপ্রধানের প্রতিবেদন ছাড়া জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে সেনানিবাস রয়েছে, সেখানে সেনানিবাস সম্প্রসারণের জন্য ভূমির অধিগ্রহণ বাড়ছে বৈ কমছে না। অন্যদিকে বন বিভাগও সমানভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা দিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার আওতাধীন দীঘিনালায় ছয়টি মৌজায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার একর জমিকে বন বিভাগ সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করেছে। এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামতের তোয়াক্কা না করে একের পর এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ওই এলাকার জনগণ সর্বদা উচ্ছেদ-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অথচ এই অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ উচ্ছেদ-পরবর্তী পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবে, সে বিষয়ে কোনো উত্তরণের উপায় আজ পর্যন্ত জানানো হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে তা নয়, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, শিল্পপতি, ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের হাজার হাজার একর জমি ইজারা নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদ করছে।
৫ মে বেশ কয়েকটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি খবর বেরিয়েছে, খাগড়াছড়ির রামগড়ে দুটি খামারে সন্ত্রাসীরা ১০ হাজার ফলদ গাছ কেটে দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। খবরের কাগজের বদৌলতে বাগান দুটির মালিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। কিন্তু এ রকম অসংখ্য খামারের মালিক রয়েছেন, যাঁরা হাজার হাজার একর পাহাড়ি ভূমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু ওই জমিতে যেসব পরিবার বছরের পর বছর বসবাস করে আসছে, তারা জানতেই পারেনি তাদের এ ভিটেমাটি দুর্নীতিবাজ প্রশাসন কোনো কোম্পানি বা শিল্পপতির কাছে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দিয়ে দিয়েছে।
আমরা জানি, পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিনের সমস্যার মূলে রয়েছে ভূমিবিরোধ। ভূমিবিরোধ যত দিন জিইয়ে থাকবে, তত দিন সাজেক, লংগদু, রামগড়ের মতো ঘটনা সংঘটিত হতে থাকবে। এ রকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো যেমন পাহাড়ে নিজেদের আড়াল করার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি পাহাড়ে সামরিক ঘাঁটি বহাল রাখার এটি মোক্ষম অস্ত্রও বটে!
ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা (সূত্র: প্রথম আলো) এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের ভূমি অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়ার জাঁতাকলে পড়ে পাহাড়ের মানুষ আর কতকাল এর খেসারত দিয়ে যাবে, সে প্রশ্ন এখন সবার।
ইলিরা দেওয়ান: মানবাধিকারকর্মী।
ভূমি অধিগ্রহণের খেসারত
তারিখ: ১৫-০৫-২০১১
ইলিরা দেওয়ান
৩ মে। বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাহাড়িদের দিনটি শুরু হয় একটু অন্যভাবে। রাতের প্রথম প্রহরে ঘুম থেকে উঠে নারীরা রান্নাবান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ, আজ তাঁদের অনেকখানি পথ পাড়ি দিতে হবে। রোজকার রুটিনের চেয়ে আজকের দিনটি যে বিশেষভাবে কাটাতে হবে!
ভোর চারটা। রুমা বাজার কয়েক শ লোকে ভরে গেছে। সবার চোখে-মুখে দৃঢ়তা। লংমার্চ করে তাঁরা বান্দরবান শহরে যাবেন নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করতে। কারণ, রুমা সেনানিবাস সম্প্রসারণের জন্য সরকারিভাবে নয় হাজার ৬৫০ একর জমি অধিগ্রহণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর ফলে ওই এলাকার তিনটি মৌজার অধিকাংশ স্থায়ী বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে। এই উদ্যোগ থেকে সরকার যাতে বিরত থাকে, সে জন্য তাঁরা আজ এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবেন। ভোররাতে রওনা হয়ে বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে শেষ বিকেলে তাঁরা বান্দরবান শহরে পৌঁছান।
রুমা উপজেলার বটতলী গ্রামের উচিং মং জীবনে কখনো বান্দরবান জেলা শহরে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি; অধিকাংশ সময় তিনি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বিচরণ করে প্রকৃতি থেকে জীবনের আনন্দ-বেদনার স্বাদ নিয়েছেন। বান্দরবানের প্রকৃতি, বগা লেক, চিম্বুক, তাজিনডং তাঁকে মাতৃছায়া দিয়েছে। কিন্তু আজ যখন তাঁর এই স্বাভাবিক যাপনে আগ্রাসনের থাবা পড়েছে, তখন তিনি অস্থিসার শরীর নিয়ে ১২ ঘণ্টা হেঁটে বান্দরবান শহরে এসেছেন প্রতিবাদ জানাতে।
বান্দরবানের রুমা গ্যারিসনকে সেনানিবাসে উন্নীত করতে ১৯৭৭ সাল থেকে এই সাড়ে নয় হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সে সময় ভূমি মন্ত্রণালয় পরিবেশগত দিকটি বিবেচনা করে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯১ সালে এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়াটি আবারও সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেবারও প্রক্রিয়াটি এগোয়নি। বিগত জরুরি অবস্থার সময় সামরিক বাহিনী এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়া আবারও সামনে তুলে আনে। অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়াটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এক জীবন-মরণ সংগ্রাম। এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে বর্তমানে আরও যুক্ত হয়েছে রুমা বাজারসংলগ্ন পলি মৌজায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য আরও অতিরিক্ত তিন হাজার একর জমি অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়া, যা সরকার এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে।
আমরা জানি, উনিশ শতকের শেষভাগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সার্কেল আবার কয়েকটি মৌজায় বিভক্ত। এসব মৌজার প্রধান হেডম্যানরাই ঐতিহ্যগতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো দেখাশোনা করতেন। কিন্তু সেনানিবাস সম্প্রসারণের নামে যে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে হেডম্যানদের মতামত নেওয়া তো হয়নি। হেডম্যানেরাও আজ ভূমি আগ্রাসনের শিকার। অথচ পার্বত্য চুক্তিতে বলা আছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণ, ক্রয়-বিক্রয়ে মৌজাপ্রধানের প্রতিবেদন ছাড়া জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে সেনানিবাস রয়েছে, সেখানে সেনানিবাস সম্প্রসারণের জন্য ভূমির অধিগ্রহণ বাড়ছে বৈ কমছে না। অন্যদিকে বন বিভাগও সমানভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা দিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার আওতাধীন দীঘিনালায় ছয়টি মৌজায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার একর জমিকে বন বিভাগ সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করেছে। এ অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামতের তোয়াক্কা না করে একের পর এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ওই এলাকার জনগণ সর্বদা উচ্ছেদ-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অথচ এই অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ উচ্ছেদ-পরবর্তী পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবে, সে বিষয়ে কোনো উত্তরণের উপায় আজ পর্যন্ত জানানো হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে তা নয়, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, শিল্পপতি, ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের হাজার হাজার একর জমি ইজারা নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদ করছে।
৫ মে বেশ কয়েকটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি খবর বেরিয়েছে, খাগড়াছড়ির রামগড়ে দুটি খামারে সন্ত্রাসীরা ১০ হাজার ফলদ গাছ কেটে দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। খবরের কাগজের বদৌলতে বাগান দুটির মালিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। কিন্তু এ রকম অসংখ্য খামারের মালিক রয়েছেন, যাঁরা হাজার হাজার একর পাহাড়ি ভূমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু ওই জমিতে যেসব পরিবার বছরের পর বছর বসবাস করে আসছে, তারা জানতেই পারেনি তাদের এ ভিটেমাটি দুর্নীতিবাজ প্রশাসন কোনো কোম্পানি বা শিল্পপতির কাছে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দিয়ে দিয়েছে।
আমরা জানি, পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিনের সমস্যার মূলে রয়েছে ভূমিবিরোধ। ভূমিবিরোধ যত দিন জিইয়ে থাকবে, তত দিন সাজেক, লংগদু, রামগড়ের মতো ঘটনা সংঘটিত হতে থাকবে। এ রকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো যেমন পাহাড়ে নিজেদের আড়াল করার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি পাহাড়ে সামরিক ঘাঁটি বহাল রাখার এটি মোক্ষম অস্ত্রও বটে!
ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা (সূত্র: প্রথম আলো) এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের ভূমি অধিগ্রহণ-প্রক্রিয়ার জাঁতাকলে পড়ে পাহাড়ের মানুষ আর কতকাল এর খেসারত দিয়ে যাবে, সে প্রশ্ন এখন সবার।
ইলিরা দেওয়ান: মানবাধিকারকর্মী।
.....................................................................
Courtesy: Prothom-alo
No comments:
Post a Comment