বান্দরবানে কর্মশালায় বক্তারা
আদিবাসীদের অন্য পরিচয় চাপিয়ে দিলে মানা হবে না
পৃথিবীতে কোথাও নজির নেই, কারও জাতিগত পরিচয় অন্য কেউ নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের আমলারা জবরদস্তিমূলকভাবে আদিবাসীদের ওপর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতিসহ হরেক রকম পরিচয় চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন। আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির ব্যাপারে নানাভাবে বাধা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু আদিবাসীদের ওপর অন্য কোনো পরিচয় চাপিয়ে দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার, ভূমিসমস্যা ও উন্নয়ন শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বান্দরবান আদিবাসী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন গৌতম কুমার চাকমা, শফিকুর রহমান, কে এস মং, চহ্লাপ্রু জিমি ও সুবর্ণা চাকমা। সভাপতিত্ব করেন সাধুরাম ত্রিপুরা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ম্রো নেতা রাংলাই ম্রো, বম নেতা জুয়ামলিয়ান আমলাই বম, চাক নেতা মংমং চাক, ত্রিপুরা নেতা দেন্দোহা জলাই, হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি পুলুপ্রু মারমা, সমাজকর্মী জলিমং মারমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে অন্য কোনো পরিচয় চাপিয়ে দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। এ জন্য সবাইকে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বক্তারা ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে পার্বত্য চুক্তিবিরোধীদের গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁরা চেয়ারম্যানের পদ থেকে খাদেমুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
---------------
courtesy: prothom-alo
No comments:
Post a Comment