পার্বত্য ইস্যূতে ‘কঠোর‘ অবস্থান?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৻
এর পিছনে ইউপিডিএফ বা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর তৎপরতাকে অন্যতম একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বশেষ সহিংস ঘটনা ঘটেছিল খাগড়াছড়িতে গত মাসের শেষদিকে।
তাতে বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এবং তিনজন বাঙ্গালী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
যে ঘটনা নিয়ে সেখানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের উচ্চপর্যায়ে এক বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যলোচনা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার বলেছেন, পার্বত্য এলাকার পরিস্থিতির জন্য ইউপিডিএফ-এর তৎপরতাকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে এই সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি এখন আলোচনায় এসেছে।
“ইউপিডিএফ’র অনৈতিক যে সব কাজ রয়েছে, হত্যাকান্ড ঘটানো, চাঁদাবাজি বা কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, এর উপর নজর রাখা হচ্ছে,‘‘ তিনি বলেন৻
‘‘এমনকি আইনবিরোধী এ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তাদেরকে বলা হয়েছে।
‘‘এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ইউপিডিএফ’র সাংগঠনিক বৈধতা থাকা উচিত কি উচিত না, তা সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে,‘‘ স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার বলেন৻
মি সিকদার বলছেন, পার্বত্য এলাকায় মূলত কতৃত্ত্ব প্রতিষ্ঠা এবং চাঁদাবাজির কারণেই সহিংস ঘটনা ঘটে।
এমন সব ঘটনার ক্ষেত্রেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্ত বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ’র ভূমিকা রয়েছে বলে তথ্য প্রমাণ সরকার পেয়েছে।
তবে এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপিডিএফ’র একজন নেতা নিরন চাকমা।
তিনি বলেছেন , ‘তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ।
‘‘ইউপিডিএফ’কে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকার ষড়যন্ত্রমূলক এমনসব অভিযোগ তুলছে,‘‘ নিরন চাকমা বলেন৻
পার্বত্য এলাকায় অধিকার নিয়ে আন্দোলন করলে এমন অভিযোগ তোলা হয় বলে ইউপিডিএফ’র ঐ নেতা মন্তব্য করেন।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, পার্বত্য এলাকায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখন সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েই এগুবে।
একই চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ও সরকার গূরুত্ব দিচ্ছে।
-----------------------
courtesy: bbc bangla
No comments:
Post a Comment