Why we want our voice to be heard?

Pages

Saturday, May 21, 2011

সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে জাতিসংঘেরভাষাগত সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি




সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে জাতিসংঘেরভাষাগত সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি - বিপ্লব রহমান ও মেহেদী হাসান



বাংলাদেশের ভাষাগত সংখ্যালঘু জনজাতিগুলোকে জাতিসংঘ 'আদিবাসী' হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি দিতে চায়। উলি্লখিত জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও নিজেদের আদিবাসী হিসেবেই স্বীকৃতি চান। এ ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
গত সোমবার নিউ ইয়র্কে শুরু হওয়া আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের দশম বৈঠকে জাতিসংঘ পার্বত্য শান্তিচুক্তিবিষয়ক এক প্রতিবেদনে পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি জনজাতিকে জাতিসংঘ 'আদিবাসী' হিসেবে উল্লেখ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবেদনে চলতি সরকারের মেয়াদকালেই পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। আগামী বুধবার জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন ফোরামের বৈঠকে উত্থাপিত হওয়ার কথা।

এদিকে আন্তর্জাতিক ওই বৈঠকে বাংলাদেশ দাবি করতে যাচ্ছে, এ দেশে আদৌ কোনো 'আদিবাসী' নেই! এ দেশে বসবাসকারী ভাষাগত সংখ্যালঘুরা সবাই 'ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী'। অন্যদিকে দুই প্রতিমন্ত্রী ও তিন আদিবাসী এমপি সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। আদিবাসী নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলছেন, দেশের সংবিধানে তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে ভাষাগত সংখ্যালঘু প্রান্তিক জনজাতিদের 'আদিবাসী' হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁরা কোনোভাবেই 'উপজাতি', 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' বা অন্যকোনো অভিধা মেনে নেবেন না।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন : পাহাড়ে সেনা অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন

জাতিসংঘের প্রস্তাবিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ বছর আগে স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে হতাশা বেড়েই চলেছে। জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে পার্বত্য সমস্যা। সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতিও যত্রতত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সেনা-অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, যুদ্ধাবস্থা ছাড়া কোনোভাবেই দেশের এক-তৃতীয়াংশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে মোতায়েন রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।

প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ থাকছে, তার মধ্যে পার্বত্য সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণা, পাহাড়ি-বাঙালির ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি, অস্থায়ী সেনা ছাউনি প্রত্যাহার, পাহাড়ে সেনা কর্মকাণ্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান, একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার তথা আইন সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেওয়া, পাহাড়ে চলমান জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বিস্তৃতি ইত্যাদি অন্যতম।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বরাবরই পাহাড়িদের 'আদিবাসী' হিসেবে উল্লেখ করে তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি মেনে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে 'আদিবাসী' অভিধা সরকারিভাবে ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠী ছাড়াও দেশের সংখ্যাগুরু বাঙালিসহ গণমাধ্যমে ক্রমেই 'আদিবাসী' কথাটির ব্যবহার বাড়ছে। এ ছাড়া ব্রিটিশ আমল থেকে এ পর্যন্ত চলে আসা বিভিন্ন সরকারি আইন ও পরিভাষায় আদিবাসী অভিধা ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে এতে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি, ২০১০ সালের অর্থবিল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আইন ও দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রের কথা উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে জাতিসংঘের যেসব সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে, সেগুলো যথাযথভাবে মেনে চলারও তাগিদ দেওয়া হয়।

সরকারের অবস্থান : আদিবাসী নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী

কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, আগামী বুধবার উত্থাপিত হতে যাওয়া আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের বৈঠকে আদিবাসী ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এম এ মোমেনের এ দেশের সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কথা। এতে তিনি সরকারের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যে বলবেন, বাংলাদেশে আদৌ কোনো আদিবাসী নেই। এ দেশে বসবাসকারী ভাষাগত সংখ্যালঘুরা সবাই 'ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী'। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী বাঙালিরাই এ দেশের আদিবাসী; ভাষাগত সংখ্যালঘু 'উপজাতি' জনগোষ্ঠী আদিবাসী নয়।

'আদিবাসী' অভিধা ব্যবহার করলে সরকারকে বিভিন্ন জাতিসংঘের সনদে স্বাক্ষর করতে হয়। সে ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে। এ পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যই বাংলাদেশে সরকার কৌশলগত এ অবস্থান নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ দেশের আদিবাসীদের কখনো 'উপজাতি', আবার কখনো 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' অভিধায় চিহ্নিত করে বিভিন্ন সময় নানা সরকারি আইন ও আদেশ জারি করা হয়েছে। গত বছরের ২৮ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় 'উপজাতিদের' 'আদিবাসী' অভিধা ব্যবহার না করার কথা বলে। ২০০৫ সালেও দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অণুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরূপ নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবার গত বছর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে আদিবাসীদের 'ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী' উল্লেখ করে ১৭টি জনজাতিকে তালিকাভুক্ত করা হয়। একই সময় জারি করা হয় 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আইন-২০১০'।

প্রসঙ্গত, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রশ্নে সংবিধান সংশোধন বিষয়ক বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ বছর ১৬ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'উপজাতিরা আদিবাসী হিসেবে নয়, ক্ষুদ্র নৃতাত্তি্বক জাতিগোষ্ঠী হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পাবেন। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, আদিবাসী বলতে যা বোঝায়, আমাদের উপজাতিদের তা বোঝায় না।'

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরো বলেন, 'আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাদের (উপজাতিদের) একটি দাবি আছে। কিন্তু এ দাবির ক্ষেত্রে কমিটির সম্পূর্ণ ভিন্নমত রয়েছে। বাংলাদেশ একটি প্রাচীন সভ্যতার দেশ। আমরা হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যের জাতি। এখানে কোনো ঔপনিবেশিক শাসন ছিল না, এমনকি মধ্যযুগেও না। তাই অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থে আদিবাসী বোঝায় আমাদের উপজাতিরা তেমন নয়। তাই ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের মাধ্যমেই তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।'

দুই প্রতিমন্ত্রী ও তিন আদিবাসী এমপির সরকারবিরোধী অবস্থান

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রশ্নে দুজন প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারি দলের পাঁচজন আদিবাসী সংসদ সদস্য সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির এমপি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের এমপি বীর বাহাদুর, কঙ্বাজারের এমপি এথিন রাখাইন এবং আমি নিজে সরকারের সংবিধান সংশোধন বিষয়ক বিশেষ কমিটির কাছে লিখিতভাবে প্রস্তাব জানিয়েছি, এ দেশের আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবেই সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার।'

প্রমোদ মানকিন বলেন, 'সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিষয়ক গেজেট বিজ্ঞপ্তির সংজ্ঞায় আদিবাসীদের 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' বলা হয়েছে। এর পরও সরকার যদি সংবিধানে আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করতে চায়, তাহলে ব্রাকেটে আদিবাসী কথাটি উল্লেখ করলে আর সমস্যা থাকে না।' তিনি বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। বরং এতে দেশের আত্মমর্যাদা আরো বাড়বে। একই কারণে জাতিসংঘের বৈঠকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আদিবাসীদের 'আদিবাসী' হিসেবেই উল্লেখ করা প্রয়োজন।

আদিবাসীদের 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আইন-২০১০ এর বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তিটি এ দেশের আদিবাসীদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতে মাত্র ১৭টি জনজাতির কথা বলা হয়েছে। অথচ নৃতাত্তি্বকরা বিভিন্ন সময় গবেষণা করে দেখেছেন, দেশে আদিবাসী জনজাতির সংখ্যা ৫০টির বেশি। তাই সংশ্লিষ্ট গেজেট ও আইনে সংশোধন এনে বাদ পড়া জনজাতিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধনের দাবি জানান।

জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের বৈঠকে 'দেশে কোনো আদিবাসী নেই'_বাংলাদেশ প্রতিনিধির এমন অবস্থান গ্রহণের খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'আদিবাসী নেতা হিসেবে আমি কয়েকবার জাতিসংঘের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশ প্রতিনিধি যখনই আদিবাসী বিষয়ক বৈঠকে এমন দাবি করেন, তখন পুরো হলরুমে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। বিশ্বের কাছে প্রশ্ন দেখা দেয়, এ দেশে আদিবাসী না থাকলে বাংলাদেশ প্রতিনিধি কেন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন? আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের এমন অস্পষ্ট অবস্থান এ দেশের আদিবাসীদের কাছেই শুধু অপমানজনক নয়, এটি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকেই হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা, এটি কখনোই কাম্য নয়।'

সঞ্জিব দ্রং বলেন, আদিবাসীর সংজ্ঞা নিয়ে অনেক সময় সরকারি পর্যায়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। বলা হয়, এ দেশের আদিবাসীরা বহিরাগত, তারা কখনোই এ দেশের আদি বাসিন্দা নন। বরং বাঙালিরাই এ দেশের আদিবাসী। কিন্তু কেবল 'আদি অধিবাসী' শাব্দিক অর্থে আদিবাসীদের বোঝায় না। জাতিসংঘ, আইএলও এবং বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুসারে আদিবাসী বলতে যারা কোনো দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্ধারণের সময় সে দেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর বংশধর, যাদের ভিন্নতর প্রথাগত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যারা বর্তমানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীভুক্ত, যাদের দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা ও ওই অঞ্চলের প্রচলিত ভাষার বাইরে ভিন্নতর নিজস্ব ভাষা আছে, তারাই আদিবাসী।

সঞ্জিব দ্রং বলেন, আন্তর্জাতিক এসব সংজ্ঞা অনুসারে নিঃসন্দেহে সরকার যাদের কখনো 'উপজাতি' আবার কখনো 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' বলছে, তারা সবাই আদিবাসী। এ দেশের আদিবাসীরা অনেক আগেই উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অভিধা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই আদিবাসীদের 'আদিবাসী' হিসেবেই সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান এখন সময়ের দাবি। এ দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের ব্যানারে ১৭ জন এমপি গত বছর ডিসেম্বরে সরকারের সংবিধান সংশোধন বিষয়ক বিশেষ কমিটির কাছে আদিবাসী জাতির সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ১১টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এতে দেখা যায়, ককাসের দেওয়া তালিকায় দেশে ৭৫টি আদিবাসী জনজাতি রয়েছে।


----------------------------------
courtesy: kaler kantho

No comments:

Post a Comment