Why we want our voice to be heard?

Pages

Tuesday, November 30, 2010

পার্বত্য জেলাগুলোকে বিশেষ শাসন অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৯-১১-২০১০

পার্বত্য জেলাগুলোকে বিশেষ শাসন অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৯-১১-২০১০
তিনটি পার্বত্য জেলাকে একটি বিশেষ শাসন অঞ্চল হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাস। ওই লক্ষ্যে ককাস সংবিধানে ১১টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
ককাসের আহ্বায়ক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয়গুলো সুপারিশমালা হিসেবে উত্থাপন করেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান সুপারিশে বলা হয়েছে, সংবিধানের চতুর্থ ভাগের (নির্বাহী বিভাগ) তৃতীয় পরিচ্ছেদের (স্থানীয় শাসন) পর নিম্নোক্ত নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা যেতে পারে: ‘৩ (ক) পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসন; ক) রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সমন্বয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি আদিবাসী-অধ্যুষিত অঞ্চল, বিধায় ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকারের স্বকীয়তা ও নিরাপত্তার জন্য ওই অঞ্চল একটি বিশেষ শাসন অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, ককাসের সুপারিশমালা সংবিধান সংশোধন কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে।
বর্তমান সংসদের আদিবাসী পাঁচ সাংসদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাজা দেবাশীষ রায়, জনসংহতি সমিতি ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে আলোচনা করে এই সুপারিশমালা তৈরি করেন ককাসের সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও এথিন রাখাইন।
এ ব্যাপারে তিন সদস্যের যে কারিগরি কমিটি ককাসকে সহযোগিতা করছে, তার সমন্বয়ক এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের (আরডিসি) নির্বাহী পরিচালক মেসবাহ কামাল বলেন, ১৯০০ সালের শাসনবিধিতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষ অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকারের (যা বর্তমানে জেলা পরিষদ হিসেবে কার্যকর আছে) ওপর সরকারি ২২টি বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইনে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর মোট ৩৩টি বিষয় পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকারের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ১৯৯৮ সালের আইনে স্বীকৃত হয়েছে। এখন বিষয়গুলোকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হলে অধিকারগুলো স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
ককাসের সুপারিশে সংবিধানে শিডিউল আকারে দেশের জাতিগুলোর একটি তালিকা যুক্ত করা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’ সংসদে গৃহীত হয়েছে, তাতে কেবল ২৭টি নৃগোষ্ঠীর তালিকা সংযুক্ত হয়েছে। ফলে তালিকাভুক্ত নয়, এমন আদিবাসী জাতির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন। শিডিউলে দেশের সব জাতিসত্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সংবিধানে আদিবাসীদের প্রথাগত ভূমি অধিকারের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান এবং যৌথ মালিকানার বিষয়টি অবশ্যই আসা দরকার বলে ককাসের সুপারিশে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংবিধানে কেবল একটি (জাতীয়) ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। এর পরিবর্তে ৩৯টি ভাষাকেই পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, আমিনা আহমেদ, ফজলে হোসেন বাদশা, রওশন জাহান, নবাব আলী আব্বাস খান প্রমুখ। 
----------
courtesy: prothom-alo




JS caucus demands constitutional recognition of ethnic minorities
Places 11-pt constitutional amendment proposal

Staff Correspondent
A Jatiya Sangsad caucus on Sunday came up with an 11-point proposal for instituting constitutional recognition of the country’s ethnic minorities.
   Convener of the JS caucus on indigenous peoples Rashed Khan Menon in a written statement presented their recommendations at a news conference held at the National Press Club.
   State minister for Chittagong Hill Tracts affairs Diponkar Talukder delivered the speech of welcome at the conference moderated by caucus technical committee coordinator professor Mesbah Kamal.
   Menon, also the chairman of the parliamentary standing committee on education ministry, said there were 73 ethnic minorities in the country with their own cultures, traditions, languages, and religions.
   He said the 30-lakh-strong ethnic minority population of the country was yet to get constitutional recognition, even after 39 years of independence.
   Seventeen lawmakers formed the caucus on February 10 and 10 to 12 other lawmakers have been working with them closely, Menon said, adding that at least 30 lawmakers were sensitive to ethnic minority issues.
   Our constitution recognises the religious diversity of this country’s population but not its ethnic, linguistic and cultural diversities, he said and demanded making appropriate amendments to the constitution to remove this shortcoming.
   In paragraph 3 on state language, the constitution says, ‘Bangla is the state language of the republic’. To that sentence, Menon said, it could be added that ‘but the state will also equally patronise promotion and development of the languages of other ethnic groups.’
He proposed that ‘national language’ should be replaced with ‘national and other languages of the state’ in the 23rd paragraph of the second part of the constitution.

   He also observed that the constitution should reflect the fact that Bangladesh was actually a pluralist society, despite the huge majority of Bangalee population while the ethnic diversity ensured ‘our unity in diversity’.
   He proposed incorporation and acknowledgement of traditional social structures of the ethnic minority groups in the CHT and plain lands of the country as local government bodies.
   In its statement, the caucus strongly suggested acknowledgement of traditional ‘community ownership of land’ recognised in the CHT administrative manual of 1900. They also recommended for inclusion of a provision for reserved seats for ethnic minorities in local government bodies in the ethnic minority-populated areas in paragraph 59 of the constitution.                                                   
Menon said the recommendations prepared with the support of Research and Development Collective and International Labor Organization would be tabled at the parliament for making necessary amendments to the constitution.

   Chairman of the parliamentary standing committee on land ministry AKM Mozammel Haque and lawmakers Amina Ahmed, Fazle Hossain Badsha, and Nabab Ali Abbas Khan were also present at the conference.









No comments:

Post a Comment