সংকটে পার্বত্য রাজনীতি
অরুণ কর্মকার ও হরি কিশোর চাকমাওই অঞ্চলের নানা স্থানে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রথম আলোকে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি পার্বত্য জনগণের দীর্ঘদিনের সংঘাতসংকুল জীবনকে আরও বিপন্ন করে তুলেছে।
এই দলীয় কোন্দল ও সশস্ত্র সংঘাতকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায় প্রথম আলোকে বলেন, একাধিক রাজনৈতিক দল থাকা কোনো সমস্যা নয় বরং তা সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সমাজে বহুমত বিকাশে সহায়ক। কিন্তু সমস্যা হলো সশস্ত্র সংঘাত। এই সংঘাত পার্বত্য সমাজে এক দুষ্টক্ষত হিসেবে বিরাজ করছে। অনেক তরুণ অকালে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
চাকমা রাজা বলেন, সশস্ত্র তৎপরতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে যেমন পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, তেমনি সরকারের সহযোগিতাও লাগবে। এই সংঘাত একটি রাজনৈতিক সমস্যা। সে হিসেবেই এটা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে। আর যদি এটাকে আইনশৃঙ্খলার বিষয় বলে বিবেচনা করা হয়, তাহলেও তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশি ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশের কাজে। তা ছাড়া পাহাড়ে ইনসার্জেন্সি (সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী তৎপরতা) না থাকলেও কাউন্টার ইনসার্জেন্সির একটা চশমা এঁটে রাখা হয়েছে। দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে এ রকম সশস্ত্র সংঘাত হলে সরকার যা করত, এখানেও তাই করা উচিত।
দল-উপদল কোন্দল: পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে দৃশ্যত তিনটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সক্রিয়। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে জাতীয় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। অন্য দুটি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও নবগঠিত জেএসএস (বিক্ষুব্ধ)। এ ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন দলের নামে বেশ কটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। এই দল ও উপদলগুলোর মধ্যে কোন্দল এখন চরমে।
অবশ্য জেএসএসের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা মনে করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল একটিই, জেএসএস। ওই অঞ্চলের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংঘাত-সংঘর্ষ প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পার্বত্য জনগণের এই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, জেএসএস মনে করে, ইউপিডিএফ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। শুরু থেকেই এদের কাজ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস। আর নবগঠিত জেএসএস (বিক্ষুব্ধ) সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা চক্রান্তকারী, কুচক্রী। খুদে দলবাজি করার জন্য তারা দল থেকে বের হয়ে গেছে। দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে তাদের পেছনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মদদ আছে। ১৯৮২ সালেও জেএএসের মধ্যে এ রকম একটি মহল (চার কুচক্রী) চিহ্নিত হয়েছিল।
অপরদিকে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে ইউপিডিএফের কয়েকজন নেতা বলেন, নব্বইয়ের দশকে সরকার ও জেএসএসের মধ্যে যখন আলোচনা শুরু হয়, তখন থেকেই জেএসএস নেতৃত্ব পার্বত্য জনগণের মুক্তি আন্দোলনের কৌশলগত অবস্থান থেকে সরে যায়। ’৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর জেএসএস এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পার্বত্য জনগণের সংগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়ারই ক্ষমতা ও যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলার প্রধান সংগঠক শান্তি দেব চাকমা ও তাঁদের অঙ্গসংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মাইকেল চাকমা বলেন, জেএসএস নেতারা প্রতিটি সরকারকে খুশি রেখে নিজেদের বিভিন্ন লাভজনক পদে বহাল রাখার কৌশল অবলম্বন করছেন। পাহাড়ি জনগণের দাবি বাস্তবায়নের অবস্থান থেকে তাঁরা সরে এসেছেন। তাই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা কোনো কর্মসূচি দিতে পারছেন না। দলে ভাঙনও হয়েছে এই কারণে।
একই প্রসঙ্গে জেএসএসের (বিক্ষুব্ধ) সহ-চেয়ারম্যান রূপায়ন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক, বৈষয়িক ও ব্যক্তিগত কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে বিরোধের কারণে তাঁরা নতুন দল গড়তে বাধ্য হচ্ছেন। নানা সময়ে ওই সব বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু দুই-একজনের একগুঁয়েমির কারণে তা সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সরকার ও সেনাবাহিনীর দালাল হিসেবে অভিযুক্ত করে তাঁদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি একটি গণতান্ত্রিক ও যৌথ নেতৃত্বের জেএসএস গঠন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, কে বা কারা সরকারের দালাল, তার প্রমাণ তাঁরা যথাসময়ে দেবেন।
বাড়ছে সশস্ত্র সংঘাত: পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান দলগুলোর এই বিপরীতমুখী অবস্থান শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। একে কেন্দ্র করে অনেক আগে থেকেই চলে আসা সশস্ত্র সংঘাত এখন আরও বাড়ছে। সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি সূত্র জানায়, শুধু নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষেই যে দলগুলো সীমাবদ্ধ থাকছে তা নয়, বেশ কিছু দিন ধরে বাঘাইহাটে যে সংঘাত হচ্ছে, তার পেছনেও কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের ভূমিকা আছে।
গত পাঁচ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে ছোট-বড় শতাধিক সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে বলে এসব দল ও সরকারি সূত্রগুলো জানায়। নতুন করে জেএসএস (বিক্ষুব্ধ) সংগঠিত হওয়ার পর তারাও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তবে নিজেদের সশস্ত্র গ্রুপ থাকার কথা স্বীকার করে না একটি দলও।
এ ব্যাপারে জেএসএসের বক্তব্য হিসেবে সন্তু লারমা বলেন, ইউপিডিএফ ও জেএসএস (বিক্ষুব্ধ) অংশের অস্ত্র আছে। দীর্ঘদিন ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়ে পার্বত্য চুক্তির পক্ষের একটি গ্রুপও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। তবে তাঁদের সঙ্গে জেএসএসের কোনো সম্পর্ক নেই। জেএসএস কোনো অস্ত্রধারী গ্রুপ পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করে না। তিনি বলেন, জেএসএস মনে করে, চুক্তির আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণপ্রতিরোধ বাহিনী, মুখোশ বাহিনী, টাইগার বাহিনী প্রভৃতি নামে যেসব অস্ত্রধারী গ্রুপ ছিল, যাদের ‘কাউন্টার ইনসার্জেন্সি’র কাজে ব্যবহার করা হতো, ইউপিডিএফও সে রকমই একটি গ্রুপ। চুক্তিবিরোধী এ রকম আরও কিছু উপদলও তৈরি হতে পারে। মানুষ এদের হাতে জিম্মি।
ইউপিডিএফ নেতাদেরও সাফ কথা, ‘আমরা কোনো অস্ত্রধারী গ্রুপ পুষি না। কোনো অস্ত্রধারী আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’ তাঁরা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফকে নিশ্চিহ্ন করতে জেএসএস সশস্ত্র গ্রুপ পোষে। ছোটখাটো আরও কিছু গ্রুপ সক্রিয় থাকতে পারে। পার্বত্য জনগণ আত্মরক্ষার্থে তাদের মোকাবিলা করছে।
জেএসএসের (বিক্ষুব্ধ) সহ-চেয়ারম্যান রূপায়ন দেওয়ান বলেন, তাঁরা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় দল গঠন ও পরিচালনা করতে চান। তাই সশস্ত্র গ্রুপ লালনের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তবে তাঁরা শুনেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কোনো এলাকায় ‘জেএসএস রিফর্মিস্ট’ নামে একটি সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় আছে। ‘চেয়ারম্যান’ নামে পরিচিত এক ব্যক্তি ওই গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন। অনেকেই ভুল করে ওই গ্রুপটিকে তাঁদের বলে মনে করে থাকেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে ওই গ্রুপের কিংবা অন্য কোনো সশস্ত্র গ্রুপের কোনো সম্পর্ক নেই।
নজিরবিহীন চাঁদাবাজি: সশস্ত্র সংঘাতের পাশাপাশি সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে চলছে নজিরবিহীন চাঁদাবাজি। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, কৃষক, মৎস্যজীবী প্রভৃতি সব পর্যায়ের মানুষ চাঁদাবাজির শিকার। যেকোনো ধরনের উপার্জন এবং বাড়ি তৈরি থেকে গরু বিক্রি পর্যন্ত সব কাজে তাঁদের চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদা নেওয়া হয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর নামে। কিন্তু কোনো দলের নেতৃত্ব চাঁদাবাজির কথা শিকার করেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিটি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, চাঁদা ছাড়া রাজনৈতিক দল চলে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই তার শুভানুধ্যায়ীরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিয়ে থাকেন। এটাকে চাঁদাবাজি বলা যায় না।
তবে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, একটি দলকে চাঁদা দিলে অন্য দলও এসে চাপ দেয় চাঁদার জন্য। এমন চাপ যে না দিয়ে উপায় থাকে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, আগে একটা নিয়মের মধ্যে চাঁদা নেওয়া হতো। কারও কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে একটা টোকেন দেওয়া হতো, যেটা দেখানো হলে অন্য কেউ চাঁদা দাবি করত না। কিন্তু এখন একাধিক দলকে চাঁদা দিতে হয়। দলের বাইরের অনেকেও দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদা নেয় বলে অনেক অভিযোগ আছে।
নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, চাঁদাবাজিটা অনেকের জীবন-জীবিকার মতো হয়ে গেছে। বর্তমানের চাঁদাবাজির অধিকাংশই কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের জন্য হচ্ছে বলে মনে হয় না।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সুশীলসমাজের প্রতিনিধি বিজয় কেতন চাকমা বলেন, এ অঞ্চলের জনগণের ওপর খুব চাপ। তারা চাঁদাবাজি থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে, সেটা এখন বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করলে তো চাঁদা দিতে হতো সব সময়ই। কিন্তু আগে যেমন কথাবার্তা বলে চাঁদার পরিমাণ কমানো যেত, এখন আর তা হয় না। এখন চাঁদা দিতে হয় কোনো কাজের জন্য নির্ধারিত ব্যয়ের শতাংশ হিসেবে বা যে অঙ্ক দাবি করা হয়, তা-ই। এখন সাধারণ বাঙালিরাও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে, যা আগে হতো না।
সরকারের অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রামের এই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়। চাঁদাবাজ প্রতিরোধ করার জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার। সেই সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে সব রাজনৈতিক দলকে। তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলতে পারি, আমাদের দলের যদি কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করব।’ তাঁর মতে, এ রকম অঙ্গীকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে এলে চাঁদাবাজি নির্মূল করা সম্ভব। সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণেও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভূমিকা নিতে হবে।
মানুষের আকাঙ্ক্ষা ঐক্য: পার্বত্য চট্টগ্রামের এই বিশৃঙ্খল ও দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য সর্বস্তরের মানুষ চায় সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য। দলগুলোও সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে। তাই তারাও ঐক্যের কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে তাদের অবস্থান একে অপরের বিপরীত মেরুতে।
রাঙামাটির বনরূপার একজন ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা (রাজনৈতিক নেতারা) বিভিন্ন সভা-সমাবেশে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। কিন্তু নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন না।
বিভিন্ন দল ও সুশীলসমাজের কয়েকটি সূত্র জানায়, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ব্যাপারে আগে অনেকবার আলোচনা হয়েছে। সেসব আলোচনায় সংঘাত না করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে একমতও হন নেতারা। কিন্তু বাস্তবে ঐক্য হয়নি। এ ব্যাপারে এক দল আরেক দলের আচরণকে দায়ী করে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা আর পূরণ হয় না। তাদের জীবনে দুর্ভোগ যেন অন্তহীন।
------------
source: the daily prothom alo (15.09.2010)
No comments:
Post a Comment