রাঙামাটিতে সন্তু লারমা
১১ বছর দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি | তারিখ: ২৯-০৯-২০১০
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ যথাযথভাবে কাজ করতে পারছে না। ১১ বছর ধরে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে এখানে থাকার কোনো অর্থ হয় না।’
গতকাল মঙ্গলবার ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন, উন্নয়ন ও সংবিধান সংশোধন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সন্তু লারমা এ কথা বলেন। রাঙামাটি শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। সহযোগিতা দিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্প (সিএইচটিডিএফ)। মতবিনিময় সভায় তিন পার্বত্য জেলার দুই শতাধিক আদিবাসী ও বাঙালি যোগ দেন।
সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সাংসদ, তিন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তিন সার্কেল-প্রধান (রাজা) ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ঐক্যবদ্ধ হলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, অনেক আদিবাসী এখনো পার্বত্য চুক্তিকে নিজের চুক্তি বলে মনে করতে পারেন না।। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত পার্বত্য চুক্তিবিরোধী রয়েছে উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, আমলাদের বিরোধিতা ও বৈরী মনোভাব চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে আমরা যে অধিকার পেয়েছি, তা নতুন কিছু নয়। আমাদের এসব অধিকার আগেও ছিল, যা বিভিন্ন সময়ে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। চুক্তির মাধ্যমে সেগুলো সুদৃঢ় করা হয়েছে।’ ভূমি ও পুনর্বাসিত বাঙালিদের সমস্যার সমাধান ছাড়া পার্বত্য চুক্তির সফলতা আসবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, পার্বত্য চুক্তির মূল লক্ষ্য শাসনকাঠামোতে সব জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। অথচ চুক্তির আওতায় গঠিত পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচনের আয়োজন না করে দলীয় লোক দিয়ে সেগুলো পরিচালিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চলছে, তা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ এর আগে আদালত থেকে ১৩ বার সময় নিয়ে পরিষদগুলোর নির্বাচন পেছানো হয়েছে। দুই বছর ধরে সরকার তারও প্রয়োজন মনে করছে না। বর্তমানে পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার সেটিও একটি কারণ
------------------
source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-09-29/news/97326
No comments:
Post a Comment