Why we want our voice to be heard?

Pages

Saturday, April 2, 2011

পার্বত্য চুক্তিকে পাশ কাটালে কিছুতেই শান্তি আসবে না

পার্বত্য চুক্তিকে পাশ কাটালে কিছুতেই শান্তি আসবে না

 ০২-০৪-২০১১

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা রয়েছে। কাজেই চুক্তি বাস্তবায়নকে পাশ কাটিয়ে যত সিদ্ধান্ত, যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না।
গতকাল শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।
পার্বত্য অঞ্চলের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এ সংগঠনটির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় তথ্য কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, কোথায় যেন একটা গোলকধাঁধা আছে। যে কারণে সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা এক পা এগোচ্ছি, এক পা পিছাচ্ছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ের একনিষ্ঠ গবেষক সাদেকা হালিম বলেন, পার্বত্য চুক্তির প্রধান বিষয় স্বশাসন। তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। চুক্তি বাস্তবায়নে আদিবাসীদেরও কাজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আদিবাসীরা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বিভাজন মেটাতে না পারলে অন্যরা সুযোগ নেবে। দাতারা কিংবা অন্য কেউ চুক্তি বাস্তবায়ন করে দিতে পারবে না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ এগোচ্ছে না। উল্টো চুক্তিবিরোধী ও আদিবাসীদের স্বার্থবিরোধী অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আসবে না।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি ছাড়া চুক্তি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। অথচ সরকারের মেয়াদ প্রায় অর্ধেক শেষ। তাই প্রশ্ন হলো, তারা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন কখন।
যশেশ্বর চাকমার স্বাগত বক্তব্যের পর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক অধ্যাপক মং সানু চৌধুরী। এতে বলা হয়, ১৩ বছর কেটে গেলেও চুক্তিটির অবস্থা ২০০১ সালে যেমন ছিল তার থেকে একচুলও এগোয়নি। বরং চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠান এবং তিন পার্বত্য জেলার কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সংস্থা নানা অজুহাতে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে চলেছে। নির্ধারিত আলোচনার পর সভায় উপস্থিত কয়েকজন মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। 

..............................................................

source: prothom-alo

No comments:

Post a Comment