Why we want our voice to be heard?

Pages

Thursday, April 21, 2011

খাগড়াছড়ি শংখোলা গ্রামের নিখোঁজ শিশু ও বৃদ্ধ কোথায়?

খাগড়াছড়ি শংখোলা গ্রামের নিখোঁজ শিশু ও বৃদ্ধ কোথায়?

 

April 21, 2011

খাগড়াছড়ি গুইমারায় ১৮ এপ্রিল সংঘটিত অগ্নিসংযোগে পুড়ে যাওয়া শংখোলা গ্রামে এক নবজাতক শিশুসহ দুটি লাশ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ওগুলো লাশ নয়, প্লাসি।টক চেয়ারের অগ্নিদগ্ধ অবশিষ্ট। দেড় মাসের নবজাতক শিশু রুইচাই মারমার বাবা থুইচাই মারমার দাবী, পোড়া লাশ দুটির একটি তার শিশু সন্তানের ও অপরটি তার বৃদ্ধ পিতা রিপ্রুচাই মারমার (৭২)।

থুইচাই মারমা জানান, ঘটনার সময় তার স্ত্রী বৃদ্ধ পিতার কাছে শিশুটিকে রেখে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন। ঐ সময় অভিবাসী বাঙ্গালীরা গ্রামে হামলা করে অগিানসংযোগ করলে তারা আর গ্রামে ফিরতে পারেনি এবং তার বৃদ্ধ পিতা ও শিশুটিকে খুঁজে পায়নি। ঘটনার পর ভয়ে তারা গ্রামে ঢুকতে পারেনি বলে লাশ দুটি উদ্ধার করে দাহ করা সম্ভব হয় নি।

বুধবার খাগড়াছড়ি থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মারমা উন্নয়ন সংসদের নেতাকর্মীরা সেখানে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে, গ্রামবাসীরা গ্রামে ঢুকে লাশ দুটোর সন্ধান পায়। পোড়া লাশদুটি শনাক্ত করার সময় খাগড়াছড়ির এসপি, জোন কমান্ডার এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ির এসপি আবুল কালাম সিদ্দিক জানান, এগুলো লাশ বা মানব কঙ্কাল জাতীয় কিছু নয়, পুড়ে যাওয়া প্লাষ্টিক চেয়ারের অংশবিশেষ। কঙ্কাল সদৃশ্য বস্তুগুলো পরীক্ষা করা হবে কি না জানতে চাইলে এসপি বলেন, এসব পরীক্ষা করার কী আছে? আমি নিজেও দেখেছি, সাংবাদিকরাও দেখেছে, এটি লাশ বা পোড়া কঙ্কাল নয়।

অন্যদিকে, গুইমরি থানার অফিসার ইন-চার্জ মঞ্জুর আক্তার জানান, উদ্ধারকুত কঙ্কাল সদৃদশ্য বস্তুগুলো পরীক্ষা করা হবে এবং এগুলো তাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এখনও কোন কিচু বরা যাচ্ছে না। এদিকে এলাকাবাসী ও থুইচাই মারমার দাবী, প্লাষ্টিক চেয়ার বা অন্য কোন বস্তু নয়, এগুলো নিখোঁজ রিপ্রুচাই ও রুইচাই মারমার লাশ।

 .................................................................................................................

Source: bangladeshnews24x7.com

No comments:

Post a Comment