আহত মি প্রু মারমা। ছবি : সংগৃহীত
মি প্রুর খোঁজ মিলেছে, চলছে চিকিৎসা বিপ্লব রহমান
সহিংসতার সময় মেয়েটির মা আম্রা মারমাও গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সন্তানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আদিবাসী একজন শিক্ষকের শরণাপন্ন হন। পরে ওই শিক্ষক অনুসন্ধান চালিয়ে গত ২৪ এপ্রিল মাটিরাঙা হাসপাতালে মেয়েটিকে খুঁজে পান। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, তিন দিন অচেতন থাকার পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার শরীর খুব দুর্বল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখন সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে আমার বাসাতেই প্রুর চিকিৎসা চলছে। ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা ওকে আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করলেও ক্ষত শুকাতে আরো সময় লাগবে বলে জানান।'
প্রুর মা আম্রা মারমা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আদিবাসী উৎসব সাংগ্রাইং উপলক্ষে আয়োজিত মেলা দেখার জন্য আমরা কয়েকজন আত্মীয়সহ ১৫ এপ্রিল মানিকছড়ি গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাসে করে গুইমারায় নিজেদের গ্রামে ফেরার পথে জালিয়াপাড়ায় একদল লোক বাস থেকে আমাদের নামিয়ে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। আমি কোনো রকমে দৌড়ে পালাতে পারলেও প্রুকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর জুম্ম (পাহাড়ি) স্কুলশিক্ষক ওকে খুঁজে বের করেন।'
জুমচাষি আম্রা মারমা কান্নাভেজা গলায় বলেন, 'আমি এখন অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যাব কোথায়? খাব কী?'
এদিকে আমাদের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, রামগড়ের পরিস্থিতি ক্রমে শান্ত হয়ে আসছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন ঘর তোলার জন্য ঢেউটিন দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে খাবার ও পোশাক দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন বাঙালি নিহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের অনেক বাড়ি। -------------- courtesy: KalerKantho
খাগড়াছড়ির রামগড়ে সহিংসতার সময় নিখোঁজ আদিবাসী কিশোরী মি প্রু মারমার (১৩) সন্ধান মিলেছে প্রায় এক সপ্তাহ পর। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রুকে মাটিরাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এক স্কুলশিক্ষক গত রবিবার তাকে খুঁজে পান। পিতৃহীন, হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য প্রুর মায়ের নাম আম্রা মারমা (৪৫)। বাড়ি মাটিরাঙা থানার গুইমারার বড়তলীপাড়ায়।
জানা গেছে, রামগড়ে গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন আদিবাসী পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় গুরুতর আহত প্রু মারমার ছবি তোলেন। পরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রক্তাক্ত ও দিশেহারা কিশোরিটির ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেইসবুক গ্রুপ এবং ব্লগে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবিটি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অনেকে তার খোঁজ জানতে চেয়ে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। সহিংসতার সময় মেয়েটির মা আম্রা মারমাও গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সন্তানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আদিবাসী একজন শিক্ষকের শরণাপন্ন হন। পরে ওই শিক্ষক অনুসন্ধান চালিয়ে গত ২৪ এপ্রিল মাটিরাঙা হাসপাতালে মেয়েটিকে খুঁজে পান। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, তিন দিন অচেতন থাকার পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার শরীর খুব দুর্বল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখন সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে আমার বাসাতেই প্রুর চিকিৎসা চলছে। ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা ওকে আশঙ্কামুক্ত ঘোষণা করলেও ক্ষত শুকাতে আরো সময় লাগবে বলে জানান।'
প্রুর মা আম্রা মারমা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আদিবাসী উৎসব সাংগ্রাইং উপলক্ষে আয়োজিত মেলা দেখার জন্য আমরা কয়েকজন আত্মীয়সহ ১৫ এপ্রিল মানিকছড়ি গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাসে করে গুইমারায় নিজেদের গ্রামে ফেরার পথে জালিয়াপাড়ায় একদল লোক বাস থেকে আমাদের নামিয়ে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। আমি কোনো রকমে দৌড়ে পালাতে পারলেও প্রুকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর জুম্ম (পাহাড়ি) স্কুলশিক্ষক ওকে খুঁজে বের করেন।'
জুমচাষি আম্রা মারমা কান্নাভেজা গলায় বলেন, 'আমি এখন অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যাব কোথায়? খাব কী?'
এদিকে আমাদের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, রামগড়ের পরিস্থিতি ক্রমে শান্ত হয়ে আসছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন ঘর তোলার জন্য ঢেউটিন দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ হিসেবে খাবার ও পোশাক দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন বাঙালি নিহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পাহাড়ি ও বাঙালিদের অনেক বাড়ি। -------------- courtesy: KalerKantho
No comments:
Post a Comment